ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নকল চার্জার চেনার সহজ উপায়

Reporter Name

মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার পর পোড়া গন্ধ পাচ্ছেন? সতর্ক হয়ে যান। আপনার চার্জারে সমস্যা আছে। চার্জারটি ভুয়া নয় তো? এমন ঝামেলা এড়াতে কেনার আগেই এটি পরখ করে নিন।

মনে রাখবেন, অমসৃণ চার্জার মানেই নকল। এ রকম ভুয়া চার্জারের কারণে স্মার্টফোন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই চার্জার কেনার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। দেখবেন গাঠনিক কাঠামো কেমন। ভুয়া চার্জার অনেক সময় অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এ থেকে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনে চার্জ না দিতেই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ভুয়া চার্জারে স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা ও চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। অনেক সময় দোকানদার বা অনলাইন বিক্রেতারা নানা প্রলোভনে ভুয়া চার্জার বিক্রির চেষ্টা করেন। কী দেখে ভুয়া চার্জার চিনবেন? জেনে নিন কয়েকটি উপায়:

স্যামসাং: বাজারে স্যামসাং ফোনের উপযোগী বলে তৈরি করা নানা ভুয়া চার্জার পাবেন। এ ধরনের চার্জার চিনতে এর ওপরের লেখাগুলো পড়ুন। স্যামসাংয়ের আসল ও নকল চার্জারের পার্থক্য খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। চার্জারের ওপর প্রিন্ট করা লেখা দেখে বুঝতে হবে। যদি চার্জারের ওপর ‘A+’ ও ‘মেড ইন চায়না’ লেখা থাকে, তবে সেটি ভুয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

আইফোন: বাজারে সবচেয়ে বেশি ভুয়া চার্জার আইফোনের। এগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে আসল আইফোন চার্জারের সঙ্গে এর পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আসল চার্জারে ‘Designed by Apple in California’ লেখা থাকবে। ভুয়া চার্জারের সঙ্গে অ্যাপলের লোগোতে সহজেই পার্থক্য ধরতে পারবেন। ভুয়া চার্জারে বসানো লোগোটি কখনো আসলটির মতো হবে না। অ্যাপল লোগোটি ভুয়া চার্জারে গাঢ় রঙের দেখাবে। তাই আইফোনের চার্জার কেনার সময় লোগো খেয়াল করুন।

শাওমি: শাওমির নকল চার্জার চিনতে হলে কেবলের দৈর্ঘ্য মাপতে হবে। যদি কেবলটি লম্বায় ১২০ সেন্টিমিটারের কম হয় বা অ্যাডাপ্টর বড় হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে চার্জারটি নকল।

ওয়ানপ্লাস: ওয়ানপ্লাস ফোনের অরিজিনাল ড্যাশ চার্জার চেনা খুবই সহজ। ফোনটি চার্জে দিলে ফ্ল্যাশ চিহ্ন দেখা যাবে। এর বদলে প্রচলিত ব্যাটারি চার্জ হওয়ার চিহ্ন দেখা গেলে বুঝবেন চার্জারটি নকল।

হুয়াওয়ে: বাজার হুয়াওয়ের নকল চার্জারও পাবেন। হুয়াওয়ের আসল ও নকল চার্জার চিনতে আপনাকে বারকোডের সাহায্য নিতে হবে। হুয়াওয়ে চার্জারের বারকোড তথ্যের সঙ্গে অ্যাডাপ্টরের বারকোড তথ্যের মিল পাওয়া গেলে বুঝতে হবে চার্জারটি আসল। তা না হলে বুঝবেন, আপনাকে ভুয়া চার্জার দিয়ে ঠকানো হচ্ছে।

পিক্সেল: গুগল সব সময় পিক্সেল ফোনের সঙ্গে ফাস্ট চার্জার সরবরাহ করে থাকে। যদি পিক্সেল ফোনটি চার্জ হতে অনেক সময় নেয়, তাহলে বুঝতে হবে চার্জারটি নকল।

অন্যান্য: চার্জার সকেটে ঢোকানোর পর যদি ঠিকভাবে খাপ না খায়, ধরে নিতে হবে পিনগুলো ভুল আকারে বানানো। কেনার আগে চার্জারের গায়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের নাম বা লোগো, মডেল, ব্যাচ নম্বর যাচাই করতে হবে। নিরাপদে চার্জার ব্যবহারের নির্দেশনা থাকতে হবে। খুব কাছ থেকে চার্জারের পিনগুলো লক্ষ্য করলেই আসল-নকলের তফাত বোঝা যাবে। নকল চার্জার দিয়ে দিনে দুই-তিনবার চার্জ দিলেই খুব দ্রুত তা গরম হয়ে যায়। আসল চার্জার দ্রুত গরম হয় না। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৬১৬ Time View

নকল চার্জার চেনার সহজ উপায়

আপডেট সময় : ০৯:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার পর পোড়া গন্ধ পাচ্ছেন? সতর্ক হয়ে যান। আপনার চার্জারে সমস্যা আছে। চার্জারটি ভুয়া নয় তো? এমন ঝামেলা এড়াতে কেনার আগেই এটি পরখ করে নিন।

মনে রাখবেন, অমসৃণ চার্জার মানেই নকল। এ রকম ভুয়া চার্জারের কারণে স্মার্টফোন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই চার্জার কেনার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। দেখবেন গাঠনিক কাঠামো কেমন। ভুয়া চার্জার অনেক সময় অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এ থেকে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনে চার্জ না দিতেই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ভুয়া চার্জারে স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা ও চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। অনেক সময় দোকানদার বা অনলাইন বিক্রেতারা নানা প্রলোভনে ভুয়া চার্জার বিক্রির চেষ্টা করেন। কী দেখে ভুয়া চার্জার চিনবেন? জেনে নিন কয়েকটি উপায়:

স্যামসাং: বাজারে স্যামসাং ফোনের উপযোগী বলে তৈরি করা নানা ভুয়া চার্জার পাবেন। এ ধরনের চার্জার চিনতে এর ওপরের লেখাগুলো পড়ুন। স্যামসাংয়ের আসল ও নকল চার্জারের পার্থক্য খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। চার্জারের ওপর প্রিন্ট করা লেখা দেখে বুঝতে হবে। যদি চার্জারের ওপর ‘A+’ ও ‘মেড ইন চায়না’ লেখা থাকে, তবে সেটি ভুয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

আইফোন: বাজারে সবচেয়ে বেশি ভুয়া চার্জার আইফোনের। এগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে আসল আইফোন চার্জারের সঙ্গে এর পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আসল চার্জারে ‘Designed by Apple in California’ লেখা থাকবে। ভুয়া চার্জারের সঙ্গে অ্যাপলের লোগোতে সহজেই পার্থক্য ধরতে পারবেন। ভুয়া চার্জারে বসানো লোগোটি কখনো আসলটির মতো হবে না। অ্যাপল লোগোটি ভুয়া চার্জারে গাঢ় রঙের দেখাবে। তাই আইফোনের চার্জার কেনার সময় লোগো খেয়াল করুন।

শাওমি: শাওমির নকল চার্জার চিনতে হলে কেবলের দৈর্ঘ্য মাপতে হবে। যদি কেবলটি লম্বায় ১২০ সেন্টিমিটারের কম হয় বা অ্যাডাপ্টর বড় হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে চার্জারটি নকল।

ওয়ানপ্লাস: ওয়ানপ্লাস ফোনের অরিজিনাল ড্যাশ চার্জার চেনা খুবই সহজ। ফোনটি চার্জে দিলে ফ্ল্যাশ চিহ্ন দেখা যাবে। এর বদলে প্রচলিত ব্যাটারি চার্জ হওয়ার চিহ্ন দেখা গেলে বুঝবেন চার্জারটি নকল।

হুয়াওয়ে: বাজার হুয়াওয়ের নকল চার্জারও পাবেন। হুয়াওয়ের আসল ও নকল চার্জার চিনতে আপনাকে বারকোডের সাহায্য নিতে হবে। হুয়াওয়ে চার্জারের বারকোড তথ্যের সঙ্গে অ্যাডাপ্টরের বারকোড তথ্যের মিল পাওয়া গেলে বুঝতে হবে চার্জারটি আসল। তা না হলে বুঝবেন, আপনাকে ভুয়া চার্জার দিয়ে ঠকানো হচ্ছে।

পিক্সেল: গুগল সব সময় পিক্সেল ফোনের সঙ্গে ফাস্ট চার্জার সরবরাহ করে থাকে। যদি পিক্সেল ফোনটি চার্জ হতে অনেক সময় নেয়, তাহলে বুঝতে হবে চার্জারটি নকল।

অন্যান্য: চার্জার সকেটে ঢোকানোর পর যদি ঠিকভাবে খাপ না খায়, ধরে নিতে হবে পিনগুলো ভুল আকারে বানানো। কেনার আগে চার্জারের গায়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের নাম বা লোগো, মডেল, ব্যাচ নম্বর যাচাই করতে হবে। নিরাপদে চার্জার ব্যবহারের নির্দেশনা থাকতে হবে। খুব কাছ থেকে চার্জারের পিনগুলো লক্ষ্য করলেই আসল-নকলের তফাত বোঝা যাবে। নকল চার্জার দিয়ে দিনে দুই-তিনবার চার্জ দিলেই খুব দ্রুত তা গরম হয়ে যায়। আসল চার্জার দ্রুত গরম হয় না। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।