ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ!

Reporter Name

মাদারীপুরের কালকিনিতে এক কলেজছাত্রীর নগ্নছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিবার ধর্ষণের অভিযোগে এইচ এম বজলুর রহমান (৫০) নামের এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এ বিষয়টি আজ এলাকাবাসীর মাঝে ফাঁস হয়ে গেলে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার উত্তর কানাইপুর দারুল আমান দাখিল মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ঘটনার পর থেকে আসামি বজলুর রহমান এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসাসুপার বজলুর রহমান উত্তর কানাইপুর গ্রামের এক কলেজছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছেন। ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যখন নবম শ্রেণিতে পড়েন তখন প্রাইভেট পড়ানোর সময় গোপনে ওই ছাত্রীর নগ্নছবি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে মাদ্রাসা সুপার বজলুর রহমান। এরপর থেকে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কয়েক বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে মাদ্রসাসুপার। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

নির্যাতিতা কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, প্রাইভেট পড়ানোর নামে আমার মেয়েকে বজলুর বছরের পর বছর ধর্ষণ করে আসছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুল বসু বলেন, ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সুপারের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১৮
১৪৯০ Time View

নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ!

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১৮

মাদারীপুরের কালকিনিতে এক কলেজছাত্রীর নগ্নছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিবার ধর্ষণের অভিযোগে এইচ এম বজলুর রহমান (৫০) নামের এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এ বিষয়টি আজ এলাকাবাসীর মাঝে ফাঁস হয়ে গেলে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার উত্তর কানাইপুর দারুল আমান দাখিল মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ঘটনার পর থেকে আসামি বজলুর রহমান এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসাসুপার বজলুর রহমান উত্তর কানাইপুর গ্রামের এক কলেজছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছেন। ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যখন নবম শ্রেণিতে পড়েন তখন প্রাইভেট পড়ানোর সময় গোপনে ওই ছাত্রীর নগ্নছবি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে মাদ্রাসা সুপার বজলুর রহমান। এরপর থেকে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কয়েক বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে মাদ্রসাসুপার। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

নির্যাতিতা কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, প্রাইভেট পড়ানোর নামে আমার মেয়েকে বজলুর বছরের পর বছর ধর্ষণ করে আসছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুল বসু বলেন, ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সুপারের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।