নড়াইলের কালিয়ায় এক কলেজছাত্রের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ ও ছবি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে।
উদ্ধার করা অস্ত্রটি সম্পর্কে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সেনাবাহিনী থেকে হস্তান্তরের পর সেটি (অস্ত্র) আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব, এটি ফায়ারিং আর্মস নাকি এয়ারগান। এরপর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত রোববার (৮ জুন) মধ্যরাতে কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে সোহান মোল্যার (২৬) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। সোহান ওই গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার ছেলে। ওই ঘটনায় সোমবার (৯ জুন) সকালে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় নড়াইল সেনা ক্যাম্প।
এতে বলা হয়, কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের সোহান মোল্যা নামের এক ব্যক্তি একটি অবৈধ স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিলেন বলে খবর পায় সেনাবাহিনী। এরপর রোববার রাতে সোহানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় সোহানের বিছানার নিচে লুকিয়ে রাখা একটি ৪ দশমিক ৫ ক্যালিবারের স্নাইপার নাইট্রো রাইফেল (টেলিস্কোপ ও সাইলেন্সার যুক্ত) উদ্ধার করা হয়। তবে সে সময় সোহান বাড়িতে না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
সোহান মোল্যার এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, প্রথমে এয়ারগানটি পার্শ্ববর্তী এলাকার রাতুল নামে একটি ছেলের কাছে ছিল। পরে সোহান এটি কিনেছিল।
তাদের ঠিকানা অনুযায়ী রাতুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে পুরুলিয়া মোড়ে রাতুলের বাবা মো. জাকারিয়া বলেন, তার ছেলে রাতুল ঢাকার একটি শুটিং ক্লাবের সদস্য ছিলেন। রাতুল খুলনা থেকে একটি এয়ারগান কিনেছিলেন।
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। এ বিষয়ে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোহান ও তার বাবার নামে এর আগের কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
সবুজদেশ/এসইউ