নড়াইলে পৃথক দুটি অভিযানে যৌথবাহিনী ও পুলিশের হাতে দেশীয় অস্ত্র, মাদকসহ মোট ছয়জন আটক হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে কালিয়া উপজেলার বনগ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে, অপর তিনজনকে আটক করা হয়েছে সদরের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায়।
শুক্রবার (২৩ মে) দিবাগত গভীর রাতে থেকে শনিবার ভোররাত পর্যন্ত নড়াইল সদর আর্মি ক্যাম্প ও কালিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে কালিয়া উপজেলার বনগ্রামের দুটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন—মো. মোশারফ শেখের ছেলে মো. রনি শেখ ও ইনসান শেখ এবং আবু তালেব মোল্যার ছেলে মো. খায়রুল মোল্যা।
অভিযানে খায়রুল মোল্যার বাড়ি থেকে ২টি বেতের ঢাল, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি ফালা ও একটি হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, রনি ও ইনসান শেখের বাড়ি থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ৪৪টি ইয়াবা, একটি চায়নিজ কুড়াল, চাকু, ফালা, পেন ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা, ওয়েট স্কেল, হকিস্টিক, হাইসা ও ২টি ঢাল জব্দ করা হয়।
কালিয়া থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে তিনজনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নড়াইল সদর থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—নড়াইল সদরের কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস কুমার বিশ্বাস, মির্জাপুর গ্রামের ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ রিয়াজ আলী এবং ডুমুরতলা গ্রামের হবখালী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, আশিস কুমার বিশ্বাসকে লোহাগড়া থানার একটি মামলায় এবং অপর দুইজনকে সদর থানার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সবুজদেশ/এসইউ