নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা (৫৭) হত্যার জেরে পাল্টা হামলার প্রস্তুতিকালে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বাবরা হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— কাঞ্চনপুর গ্রামের শরিফুল মোল্যা (৪৬), গোলাম হায়দার শেখ (৬৭), হাদিউল (২০), পারভেজ শেখ (৩০), মাহমুদুল হাসান (২০), আফতাব মোল্যা (৪৫), বুলু শেখ (৩৭), আল আমিন ইসলাম (৪৫), মোস্তাইন (৩০), হেমায়েত কাজী (৫০), হানিফ মোল্লা (৮৮) এবং আফজাল মোল্যা (৫৫)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কঞ্চনপুর গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে পিকুল মোল্যা ও আফতাব মোল্যার নেতৃত্বাধীন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঈদের পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল এবং উভয় পক্ষ পূর্বে একাধিক মামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। সংঘর্ষ চলাকালে আফতাব গ্রুপের সদস্য ফারিদ মোল্যা (৫৭) গুরুতর আহত হন এবং পরে খুলনা হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পর শনিবার রাতে আফতাব গ্রুপের লোকজন পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। খবর পেয়ে কালিয়া সেনা ক্যাম্প থেকে একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে মোট ১২ জনকে আটক করে। এসময় ৯টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ৩টি বাটন ফোন, ৫টি ঢাল, ১টি বর্শা (স্টেইনলেস স্টিল পাইপ), ১৩টি বাঁশের লাঠি জব্দ করা হয়। পরে আটকদের জব্দ করা আলামতসহ কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, রাতে সেনাবাহিনী ১২ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবুজদেশ/এসইউ