ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরে নতুন বইয়ের স্বাদ পাইনি ৪টি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :

 

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নতুন বইয়ের স্বাদ পাইনি মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৪টি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে বইগুলো পেলেই বিতরনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরে ৭৪ টি প্রাথমিক, ১৫ টি কিন্ডার গার্ডেন, ২৫ টি মাধ্যমিক ও ৯ টি মাদ্রাসা রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে  ১৪ হাজার ৫৩৫ জন। শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৩ হাজার ৬৩৫ টি। অন্যদিকে প্রাথমিক ও কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৯ হাজার ২৭৪ জন। তবে সব শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী কত বই প্রয়োজন তাঁর সঠিক কোন তথ্য নাই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে গত ১ জানুয়ারি থেকে কোটচাঁদপুরে নতুন বই বিতরন শুরু করেছেন উপজেলার প্রাথমিক ও মাধমিক অফিস। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সব বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। আর ৪র্থ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ৫ম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিতের বই তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের হাতে। তবে প্রাক- প্রাথমিকের কোন বই হাতে পায়নি বলে জানা গেছে।

আর মাধ্যমিকের ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণির ৩ টি এবং মাদ্রাসার ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণির ৩ টি করে বই বিতরন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নতুন বইয়ের স্বাদ পায়নি ৮ম, ৯ম, ১০ম ও প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম সবুজদেশ নিউজকে বলেন, ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সব বই আমরা হাতে পেয়েছি। হাতে পেয়েছি ৪র্থ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় ও ৫ম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত। বই আসেনি প্রাক- প্রাথমিকের একটিও। আমরা যে বইগুলো পেয়েছি, সব বিতরণ করা হয়েছে। আর বাকি বইগুলো হাতে পাবার পর বিতরণ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাকি বইগুলো কবে পাওয়া যাবে সেটা সঠিক করে বলা যাবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি।

উপজেলার একাডেমিক সুপার ভাইজার ফারুক হোসেন বলেন,  এ উপজেলায়  শিক্ষা কর্মকর্তা নাই। দায়িত্বে আছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। নতুন বই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির তিনটি করে বই। আর মাদ্রাসার এসেছে ৭ম শ্রেণির তিনটি বই। আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব নাই। বই আসা মাত্রই তা বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এ উপজেলার রয়েছে ২৫টি মাধ্যমিক ও ৯টি মাদরাসা। এ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৫ জন। বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৩ হাজার ৬৩৫ টি।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:২০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
৪৫ Time View

কোটচাঁদপুরে নতুন বইয়ের স্বাদ পাইনি ৪টি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৭:২০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

 

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নতুন বইয়ের স্বাদ পাইনি মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৪টি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে বইগুলো পেলেই বিতরনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরে ৭৪ টি প্রাথমিক, ১৫ টি কিন্ডার গার্ডেন, ২৫ টি মাধ্যমিক ও ৯ টি মাদ্রাসা রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে  ১৪ হাজার ৫৩৫ জন। শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৩ হাজার ৬৩৫ টি। অন্যদিকে প্রাথমিক ও কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৯ হাজার ২৭৪ জন। তবে সব শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী কত বই প্রয়োজন তাঁর সঠিক কোন তথ্য নাই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে গত ১ জানুয়ারি থেকে কোটচাঁদপুরে নতুন বই বিতরন শুরু করেছেন উপজেলার প্রাথমিক ও মাধমিক অফিস। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সব বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। আর ৪র্থ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ৫ম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিতের বই তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের হাতে। তবে প্রাক- প্রাথমিকের কোন বই হাতে পায়নি বলে জানা গেছে।

আর মাধ্যমিকের ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণির ৩ টি এবং মাদ্রাসার ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণির ৩ টি করে বই বিতরন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নতুন বইয়ের স্বাদ পায়নি ৮ম, ৯ম, ১০ম ও প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম সবুজদেশ নিউজকে বলেন, ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সব বই আমরা হাতে পেয়েছি। হাতে পেয়েছি ৪র্থ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় ও ৫ম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত। বই আসেনি প্রাক- প্রাথমিকের একটিও। আমরা যে বইগুলো পেয়েছি, সব বিতরণ করা হয়েছে। আর বাকি বইগুলো হাতে পাবার পর বিতরণ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাকি বইগুলো কবে পাওয়া যাবে সেটা সঠিক করে বলা যাবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি।

উপজেলার একাডেমিক সুপার ভাইজার ফারুক হোসেন বলেন,  এ উপজেলায়  শিক্ষা কর্মকর্তা নাই। দায়িত্বে আছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। নতুন বই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির তিনটি করে বই। আর মাদ্রাসার এসেছে ৭ম শ্রেণির তিনটি বই। আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব নাই। বই আসা মাত্রই তা বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এ উপজেলার রয়েছে ২৫টি মাধ্যমিক ও ৯টি মাদরাসা। এ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৫ জন। বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৩ হাজার ৬৩৫ টি।

সবুজদেশ/এসইউ