কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়া শহরের কোট স্টেশনের দক্ষিন পাশে অবস্থিত শাহীন আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তার আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক কাজ। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা এই দেহ ব্যবসা। আর এই অবৈধ পতিতালয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের আনাগোন বেশি। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছাত্রদের। ধ্বংশ হচ্ছে যুব সমাজ।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দীর্ঘদিন এই ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে শাহীন আবাসিক হোটেল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কোট স্টেশনের দক্ষিন পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাচলের সময় ডাকাডাকি করছেন বাবু সোনা আসো বলে রিসিপশনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তি। তারপর ভিতরে ঢোকার অনুমতি নিতে এখানে কিছুই লাগবে না। মাত্র ৩০০ টাকা দিয়েই মিলবে ইচ্ছে মত রমনীদের দেখে শুনে কথা বলে পছন্দ ও অনৈতিক কাজ করার সুযোগ পাবেন একজন ব্যক্তি। কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা ব্যস্ত। পছন্দ না হলে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেওয়া ৩০০ টাকা লোকসান।
বাস্তবে এমন চিত্র দেখা গেছে। দরকষাকষির এক পর্যায়ে হোটেল থেকে ফিরে আসতে গেলে যেকোন একজন একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে কিছু অশ্লীল কথোপকথন করে ও বিভিন্ন ভাবে নিজের শারিরীক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নিজেকে জাগান দেওয়ার চেষ্টাও করেন ওইসকল পতিতারা।
কৌশলে পরিচয় জানতে চ্ইালে ঐ সব নারীরা বলেন পরিচয় লাগবে কেন? পরিচয় দিতে পারবো না, আর এত কথা বলার সময় নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই সকল অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা ভ্রাম্যমান পতিতা। এদের বড় ধরনের নেটওর্য়াক আছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবশে পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন তারা।
সরেজমিনে পরিদর্শনে হোটেল কতৃপক্ষ, পতিতাদের এই অবৈধ কর্মকান্ডের ৯মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড এই নিউজের প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষন রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাহীন আবাসিক হোটেলের কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমার কিছুই করার নেই। আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছেন। এই হোটেলে যেকোন সময়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের নারীর দেখা মিলবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে শাহীন আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মিজানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যা করি ম্যানেজ করে করি। কম বয়সী কেউ এখানে থাকে না। হোটেলে তো কম বেতন তাই মাঝে মাঝে কাজের মহিলা যদি এমন কিছু করে ওইটা তো হোটেল কতৃর্পক্ষের দায়িত্ব না।
আমি মিথ্যা কথা বলবো না এখানে ৩০-৪০ বছর বয়সী মহিলা রেখে এ ব্যবসা করি এ কথা সত্য। তিনি বলেন শহরের বেশকিছু হোটেলে এ ধরনের ব্যবসা চলে। তবে ছেলে মেয়েরা এখানে এসে রুম নেয়।
আমরা শুধু রুম গুলো দিয়ে থাকি। কেউ যদি বলে থাকে কোনো কম বয়সী মেয়েদের দিয়ে এসব কাজ করা হয় এটা তার মিথ্যা কথা। চাইলে আপনি এসে দেখতে পারেন। র্দীঘদিন ধরে হোটেল চালাচ্ছি কেউ এমন কথা বলতে পারবে না।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, তদন্ত করে ওই হোটেল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।