ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাসায় চাকরি পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি নারী মাহজাবিন

Reporter Name

সিলেটঃ

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিলেটের মেয়ে মাহজাবীন হক। সেই সাথে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে নাসায় চাকরি করার অনন্য রেকর্ড গড়লেন তিনি। তার এ সাফল্যে সিলেট ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, মাহজাবীন এ বছরই মিশিগান রাজ্যের ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদমরসুল গ্রামে। তারা সিলেট নগরের কাজীটুলার হক ভবনের স্থায়ী বাসিন্দা।

পেইন্টিং ও ডিজাইনে পারদর্শী মাহজাবীন হক ২০০৯ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। কর্মসূত্রে বাবা সৈয়দ এনামুল হক সিলেটে অবস্থান করলেও সঙ্গে আছেন মা ফেরদৌসী চৌধুরী ও একমাত্র ভাই সৈয়দ সামিউল হক। সৈয়দ সামিউল হক ইউএস আর্মিতে কর্মরত।

মাহজাবীন হক ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে দুই দফায় টেক্সাসের হিউস্টনে অবস্থিত নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে ইন্টার্নশিপ করেন। প্রথম দফায় তিনি ডাটা অ্যানালিস্ট এবং দ্বিতীয় দফায় সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে মিশন কন্ট্রোলে কাজ করেন।

মাহজাবীন হক জানান, দুই দফায় আট মাস দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করেন তিনি। এই কাজের মাধ্যমে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

তিনি আরও জানান, নাসা অ্যামাজনসহ বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি থেকে তিনি চাকরির অফার পেয়েছেন। এর মধ্যে নাসাকেই বেছে নেন তিনি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৪০৬ Time View

নাসায় চাকরি পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি নারী মাহজাবিন

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সিলেটঃ

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিলেটের মেয়ে মাহজাবীন হক। সেই সাথে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে নাসায় চাকরি করার অনন্য রেকর্ড গড়লেন তিনি। তার এ সাফল্যে সিলেট ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, মাহজাবীন এ বছরই মিশিগান রাজ্যের ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদমরসুল গ্রামে। তারা সিলেট নগরের কাজীটুলার হক ভবনের স্থায়ী বাসিন্দা।

পেইন্টিং ও ডিজাইনে পারদর্শী মাহজাবীন হক ২০০৯ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। কর্মসূত্রে বাবা সৈয়দ এনামুল হক সিলেটে অবস্থান করলেও সঙ্গে আছেন মা ফেরদৌসী চৌধুরী ও একমাত্র ভাই সৈয়দ সামিউল হক। সৈয়দ সামিউল হক ইউএস আর্মিতে কর্মরত।

মাহজাবীন হক ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে দুই দফায় টেক্সাসের হিউস্টনে অবস্থিত নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে ইন্টার্নশিপ করেন। প্রথম দফায় তিনি ডাটা অ্যানালিস্ট এবং দ্বিতীয় দফায় সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে মিশন কন্ট্রোলে কাজ করেন।

মাহজাবীন হক জানান, দুই দফায় আট মাস দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করেন তিনি। এই কাজের মাধ্যমে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

তিনি আরও জানান, নাসা অ্যামাজনসহ বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি থেকে তিনি চাকরির অফার পেয়েছেন। এর মধ্যে নাসাকেই বেছে নেন তিনি।