ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের ৫ মাস পর পাওয়া গেল তিন পবর্তারোহীর লাশ

Reporter Name

২০০৮ সালে এই পর্বতে উঠতে গিয়ে একই দিনে ৮ পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়।

অনলাইন ডেস্কঃ

দীর্ঘ ৫ মাস পর কেটু (K2) পর্বতে নিখোঁজ তিন পর্বতারোহীর লাশের খোঁজ মিলেছে। পাকিস্তানের আলপাইন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাররার হায়দার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেটুতে পাকিস্তানের বিখ্যাত পর্বতারোহী মুহাম্মদ আলী সাদপারা (৪৫), আইসল্যান্ডের জন স্নোরি (৪৭) ও চিলির হুয়ান পাবলো মোর (৩৩) নিখোঁজ হন।

ওই তিন পর্বতারোহী নিখোঁজের ১২ দিন পর পাকিস্তানের গিলগিট বালটিস্তানের প্রাদেশিক পর্যটনমন্ত্রী রাজা নাসির আলী খান আবহাওয়া ও পর্বত বিশেষজ্ঞদের বরাতে বলেন, কোনো মানুষ এমন খারাপ আবহাওয়ায় বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণে আমরা তাদের মৃত ঘোষণা করছি। তবে নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চলবে।

অবশেষে গত সোমবার নিখোঁজদের লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের আলপাইন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাররার হায়দার বলেন, পর্বত থেকে নিহতের লাশ নামিয়ে আনা খুব কঠিন। ব্যাপক উচ্চতার কারণে লাশ নামাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী লাশ নামাতে সহায়তা করছে। 

তিনি আরও বলেন, জন স্নোরির স্ত্রীর অনুরোধে তার লাশ আইসল্যান্ডে পাঠানো হবে। এছাড়া হুয়ান পাবলো মোরের মা ও বোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা লাশ চিলিতে নেবেন। 

পাকিস্তান ও নেপালে অবস্থিত ৮ হাজার ৬১১ মিটার দৈর্ঘে্যর কেটু পর্বতকে ‘ঘাতক পর্বত’ হিসেবে মনে করা হয়। শীতের সময় কেউ এই পর্বত জয় করতে পারেনি। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে নেপালের একটি দল পর্বতের চূড়ায় উঠতে সক্ষম হয়।

শীতের সময় কেটু পর্বতের বায়ু ২০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে প্রবাহিত হতে পারে এবং তাপমাত্র মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। ২০০৮ সালে এই পর্বতে উঠতে গিয়ে একই দিনে ৮ পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
৩৯৩ Time View

নিখোঁজের ৫ মাস পর পাওয়া গেল তিন পবর্তারোহীর লাশ

আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

অনলাইন ডেস্কঃ

দীর্ঘ ৫ মাস পর কেটু (K2) পর্বতে নিখোঁজ তিন পর্বতারোহীর লাশের খোঁজ মিলেছে। পাকিস্তানের আলপাইন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাররার হায়দার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেটুতে পাকিস্তানের বিখ্যাত পর্বতারোহী মুহাম্মদ আলী সাদপারা (৪৫), আইসল্যান্ডের জন স্নোরি (৪৭) ও চিলির হুয়ান পাবলো মোর (৩৩) নিখোঁজ হন।

ওই তিন পর্বতারোহী নিখোঁজের ১২ দিন পর পাকিস্তানের গিলগিট বালটিস্তানের প্রাদেশিক পর্যটনমন্ত্রী রাজা নাসির আলী খান আবহাওয়া ও পর্বত বিশেষজ্ঞদের বরাতে বলেন, কোনো মানুষ এমন খারাপ আবহাওয়ায় বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণে আমরা তাদের মৃত ঘোষণা করছি। তবে নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চলবে।

অবশেষে গত সোমবার নিখোঁজদের লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের আলপাইন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাররার হায়দার বলেন, পর্বত থেকে নিহতের লাশ নামিয়ে আনা খুব কঠিন। ব্যাপক উচ্চতার কারণে লাশ নামাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী লাশ নামাতে সহায়তা করছে। 

তিনি আরও বলেন, জন স্নোরির স্ত্রীর অনুরোধে তার লাশ আইসল্যান্ডে পাঠানো হবে। এছাড়া হুয়ান পাবলো মোরের মা ও বোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা লাশ চিলিতে নেবেন। 

পাকিস্তান ও নেপালে অবস্থিত ৮ হাজার ৬১১ মিটার দৈর্ঘে্যর কেটু পর্বতকে ‘ঘাতক পর্বত’ হিসেবে মনে করা হয়। শীতের সময় কেউ এই পর্বত জয় করতে পারেনি। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে নেপালের একটি দল পর্বতের চূড়ায় উঠতে সক্ষম হয়।

শীতের সময় কেটু পর্বতের বায়ু ২০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে প্রবাহিত হতে পারে এবং তাপমাত্র মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। ২০০৮ সালে এই পর্বতে উঠতে গিয়ে একই দিনে ৮ পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়।