নিপুণকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে। লন্ডন যাওয়ার সময় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটকে দেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির প্রেক্ষিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাওয়ার সময় তার পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে লন্ডন গমনকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ চিত্রনায়িকা নিপুণকে ইমিগ্রেশন কর্তৃক অফলোড করে ফেরত পাঠানো হয়।
ছাত্র জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর থেকে দলটির সব নেতা পালিয়ে যান। কেউ কেউ বিদেশ পাড়ি জমালেও অনেকে দেশেই আত্মগোপনে থাকেন।
হাসিনা সরকারের পতনের পর শোবিজে আওয়ামীপন্থি তারকারা তোপের মুখে পড়েন। ছাত্র-জনতার পক্ষে না থাকায় তাদের অনেকের বিপক্ষে জনরোষ তৈরি হয়। এমন অবস্থায় গ্রেফতার এড়াতে অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। তাদের মধ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারও ছিলেন।
নিপুণ আক্তার দেশে ছিলেন নাকি লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। আগেই গুঞ্জন উঠেছিল লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। তবে গত অক্টোবরের শেষ দিকে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় দেশেই আত্মগোপনে আছেন নিপুণ আক্তার। তবে সিলেট বিমানবন্দর থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গেল নিপুণ দেশেই ছিলেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচিত হন এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে সমিতির নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মামলা করে চেয়ারে বসে হন বিতর্কিত। এফডিসিকেন্দ্রিক একটি শক্তির প্রকাশ করেন নিপুণ। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতা নেন তিনি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
সবুজদেশ/এসইউ