ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ আশ্রয়ে সাতক্ষীরার উপকূলীয় দুই লাখ ১৪ হাজার বাসিন্দা

Reporter Name

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৪০০ বাসিন্দাকে। বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। জেলার ১৪৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৭০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, ইউনিয়নের ১১টি আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমান পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের মাঝে রান্না করা খাবার (খিচুড়ি) সরবরাহ করা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, উপকূলীয় এলাকা থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৯০ হাজার ৫০০ বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সকালে কেউ কেউ আবার বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমরা পুনরায় তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরিয়ে নিতে মাঠে রয়েছি। আশ্রয়কেন্দ্রে মাক্স দেওয়া হয়েছে। খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা একযোগে কাজ করছে।

সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেত জানান, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ উপকূলীয় বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। জেলায় ১৬ মেট্রিকটন চাল, নগদ তিন লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য দুই লাখ ও গোখাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির সঙ্গে উপকূলীয় নদীতে ১০-১৫ ফিট উচ্চতার জ¦লোচ্ছাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের মধ্য প্রথম সাতক্ষীরার উপকূলে সন্ধ্যার দিকে ঘন্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:২১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০
২৮১ Time View

নিরাপদ আশ্রয়ে সাতক্ষীরার উপকূলীয় দুই লাখ ১৪ হাজার বাসিন্দা

আপডেট সময় : ১১:২১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৪০০ বাসিন্দাকে। বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। জেলার ১৪৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৭০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, ইউনিয়নের ১১টি আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমান পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের মাঝে রান্না করা খাবার (খিচুড়ি) সরবরাহ করা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, উপকূলীয় এলাকা থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৯০ হাজার ৫০০ বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সকালে কেউ কেউ আবার বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমরা পুনরায় তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরিয়ে নিতে মাঠে রয়েছি। আশ্রয়কেন্দ্রে মাক্স দেওয়া হয়েছে। খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা একযোগে কাজ করছে।

সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেত জানান, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ উপকূলীয় বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। জেলায় ১৬ মেট্রিকটন চাল, নগদ তিন লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য দুই লাখ ও গোখাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির সঙ্গে উপকূলীয় নদীতে ১০-১৫ ফিট উচ্চতার জ¦লোচ্ছাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের মধ্য প্রথম সাতক্ষীরার উপকূলে সন্ধ্যার দিকে ঘন্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানবে।