কুষ্টিয়াঃ

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে তাদের কর্মকান্ডে বিব্রতকর ও অশান্ত পরিস্থিতিতে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তৈরী হয় দিনের পর দিন অচলাবস্থা। সেই ধারা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি দেশের ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটির কতিপয় নেতা। তবে এবার নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে ছাত্রলীগের নেতা হতে বিপুল পরিমান অর্থ লেনদেরনের বিষয়টিও।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের এ সংক্রান্ত কথোপকথনের দু’টি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন সদ্যও নতুন পদ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব। রাকিব সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় অশান্ত হয়েপড়ে ইবি। বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে প্রায় প্রতিনিদিনি সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবের বিরুদ্ধে নিয়োগ পাইয়ে দিতে ঘুষের দরকষাকষির কথোপকথন সম্পর্কিত অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।এর রেষ কাটতে না কাটতে এবার ওই নেতার বিরুদ্ধে আরেকটি অডিও ফাঁস হয়েছে। তবে ওই অডিও ক্লিপে নিয়োগ বাণিজ্য নয়, পদ পেতে কেন্দ্রে বিপুল অংকের ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি উল্লেখ থাকে। সেখানে উঠে আসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী কথা।

ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের এমন অডিও ফাঁসের ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি করেছে গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে। এতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ক্ষুব্ধ ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগেও ছাত্রলীগ এধরনের কাজ করেছে। তাই আমরা চাই এমন ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকায় ভালো। আর নিয়োগ পাইয়ে দিতে ঘুষের দরকষাকষির কথোপকথন অডিও ক্লিপ এর আগেও প্রকাশ হয়েছে তার। তার এমন কর্মকান্ডে হতাশ ও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব বলেন, যে অডিও ক্লিপটি বলা হচ্ছে আমার সেটি আমার নয়, এটা মিথ্যা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটা পক্ষ তারা তাদের মতো করে কাজ করেছে। ছাত্রলীগ হয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কখনোই যেতে পারে না। তারা দলীয় ফরমে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অভিযোগ করবে। কেন্দ্র যদি মনে করে আমি অপরাধী আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। আমি যদি অপরাধী হয়ে থাকি অবশ্যই নিজ জায়গা থেকে সরে আসবো।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, দুর্নীতি করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে সদ্যও নতুন পদ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব। ছাত্রলীগের এই সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এর আগেও নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। একজন নেতা বার বার এমন ধরণের কাজ করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্র তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে বলে এমনটাই আশা করছি।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য,ড.রশিদ আসকারী বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টির সঠিক প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

অডিওটি শুনুন…

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here