সবুজদেশ ডেস্কঃ

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিতর্কিত সাকিব আল হাসান। লাইভ ম্যাচে ক্যামেরার সামনে বাজে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন, মাঠে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দর্শকের মন্তব্য নিয়ে সাকিবপত্নীর প্রতিবাদ, ঘটনা শুনে অনুমতি ছাড়া ড্রেসিংরুম থেকে গ্যালারিতে গিয়ে ওই দর্শককে সাকিবের মারধর।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র না নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাবিরীয় প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যান সাকিব। বিষয়টি ভালো চোখে না দেখায় রাগের মাথায় টেস্ট ও ওয়ানডে দল থেকে অবসর নেয়ার হুমকি দেন সাকিব। যে কারণে তাকে ছয় মাস নিষিদ্ধ করে বিসিবি।

তখন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, শুধু এ ঘটনার কারণে সাকিবের ওপর এমন কঠিন শাস্তি নয়। দীর্ঘদিন ধরে সাকিবকে নিয়ে জমে থাকা অভিযোগের ভিত্তিতেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।

গত বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে আইপিএল খেলতে গিয়ে ভারতে বসে থাকেন সাকিব। সেই আসরে এক ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। বসে থেকে অবশেষে আইপিএলের মাঝ পথে দেশে ফিরেন সাকিব। দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জার্সির অফিসিয়াল ফটোসেশনের সময়ে মিরপুর শেরেবাংলায় উপস্থিত হলেও কাউকে না বলে ফটোসেশনের আগেই বাসায় ফিরে যান সাকিব। অথচ মাঠেই তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি, ক্রিকেট বোর্ডের বেশ কয়েকজন পরিচালক ও ক্রিকেটাররা। পরে সাকিব দাবি করেন তিনি ফটোসেশনের কথা জানতেন না। 

জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল সাকিবকে ১ বছর নিষিদ্ধ করে। গত ২৯ অক্টোবর তার সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। মার্চে বিশ্বব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়ার আগে থেকেই স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন সাকিব। 

চলতি মাসে দেশে ফিরে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুসারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও সাকিব স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে, দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গুলশানে একটি সুপার শপ উদ্বোধন করেন। 

শুধু তাই নয়, কয়েক দিন আগে কালীপূজা উদ্বোধন করতে কলকাতা যাওয়ার পথে বেনাপোলে সাকিবের সঙ্গে এক ভক্ত সেলফি তুলতে চান, কিন্তু সাকিবের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওই ভক্কের ফোনটি মাটিতে পড়ে ভেঙে যায়।  

তার চেয়েও বড় কথা হল- একজন মুসলিম হয়েও কলকাতায় গিয়ে কালীপূজা উদ্বোধন করা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব। তার এমন কর্মকাণ্ডের জন্য এক সমর্থক সাকিবকে হত্যার হুমকি দেন। সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভুল স্বীকার করে ফেসুবক লাইভে কলকাতার ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান সাকিব।

তার ঠিক একদিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নীরব প্রতিবাদ করেন সাকিবপত্নী উম্মে আহমেদ শিশির। তিনি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি জাহাজ সমুদ্রে ভাসছে। কিন্তু একটি মুঠোফোন বাঁকা করে ধরে জাহাজটির ছবি তোলা হচ্ছে। 

সেই পোস্টে সাকিবপত্নী কোনো ক্যাপশন না লিখলেও হয়তো তিনি বোঝাতে চেয়েছেন- বাঁকা করে দেখলে সবকিছুর মধ্যেই ত্রুটি পাওয়া যাবে।

সাকিব পত্নীর এমন পোস্টে তৌহিদুল ইসলাম নামে একজন মন্তব্য করেছেন-ভাবি সেই হইছে। 

মুরাদ বিন মোর্শেদ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন- মাথাওয়ালা পোলা, মাথা ছাড়া মাইয়া বিয়ে করবে না কখনও। 

আদনান হাবিব নামে একজন লিখেছেন- এজন্যই আপনি বিশ্বেসেরার সহধর্মিণী।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here