ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেশা করে বাড়িতে অশান্তি, ছেলেকে ত্যাজ্য করলেন পিতা

Reporter Name

দামুডহুদায় বিষ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা চেষ্টা, স্ত্রী কারাগারে - ফাইল ছবি

চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গায় নেশাখোর ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ত্যাজ্যপুত্র করলেন এক ব্যবসায়ী পিতা।

আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি ছেলেকে ত্যাজ্য করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফার্মপাড়ার কবির হাসান কারণ তার ছেলে মেহেদী হাসান চঞ্চলকে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পের ওপর স্বাক্ষর দিয়ে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন।

কবির হাসান ওরফে কারণ জানান, ‘ছেলে মেহেদী হাসান চঞ্চল নেশাগ্রস্থ হয়ে বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি করে। ঘরে রাখা টাকা-পয়সা চুরি করে। তাকে অনেক নিষেধ করা সত্ত্বেও সে শোনে না। বরং তার মায়ের গায়েও হাত তুলতে যায়। চুরি, ছিনতাই করে মহল্লাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। নেশাজাত দ্রব্য সেবন করে সব সময় ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত থাকত। বাধ্য হয়ে গত ২৩ জানুয়ারি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আমি স্বজ্ঞানে মেহেদী হাসান চঞ্চলকে (২৭) ত্যাজ্যপুত্র করেছি।

তিনি বলেন, আমি জীবিত থাকাবস্থায় বা মৃত্যুর পর সে আমার কোনো সম্পত্তির অধিকারী হবে না। এ ছাড়া সে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করলে আমি দায়ী থাকব না। তার সঙ্গে পিতা-পুত্রের সম্পর্ক চিরদিনের জন্য ছিন্ন করেছি।

ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম পলাশ। তিনি বলেছেন, ‘ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণার হলফনামায় আইনজীবী হিসেবে আমি নিজে স্বাক্ষর করেছি।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০
৩৮৪ Time View

নেশা করে বাড়িতে অশান্তি, ছেলেকে ত্যাজ্য করলেন পিতা

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০

চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গায় নেশাখোর ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ত্যাজ্যপুত্র করলেন এক ব্যবসায়ী পিতা।

আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি ছেলেকে ত্যাজ্য করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফার্মপাড়ার কবির হাসান কারণ তার ছেলে মেহেদী হাসান চঞ্চলকে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পের ওপর স্বাক্ষর দিয়ে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন।

কবির হাসান ওরফে কারণ জানান, ‘ছেলে মেহেদী হাসান চঞ্চল নেশাগ্রস্থ হয়ে বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি করে। ঘরে রাখা টাকা-পয়সা চুরি করে। তাকে অনেক নিষেধ করা সত্ত্বেও সে শোনে না। বরং তার মায়ের গায়েও হাত তুলতে যায়। চুরি, ছিনতাই করে মহল্লাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। নেশাজাত দ্রব্য সেবন করে সব সময় ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত থাকত। বাধ্য হয়ে গত ২৩ জানুয়ারি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আমি স্বজ্ঞানে মেহেদী হাসান চঞ্চলকে (২৭) ত্যাজ্যপুত্র করেছি।

তিনি বলেন, আমি জীবিত থাকাবস্থায় বা মৃত্যুর পর সে আমার কোনো সম্পত্তির অধিকারী হবে না। এ ছাড়া সে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করলে আমি দায়ী থাকব না। তার সঙ্গে পিতা-পুত্রের সম্পর্ক চিরদিনের জন্য ছিন্ন করেছি।

ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম পলাশ। তিনি বলেছেন, ‘ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণার হলফনামায় আইনজীবী হিসেবে আমি নিজে স্বাক্ষর করেছি।’