সবুজদেশ ডেক্সঃ  ১৯৯১ সালে সিপিবির প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়েছিলেন এ এইচ এম খালেকুজ্জামান। ওই নির্বাচনে ১৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নান্দাইলের খুররম খান চৌধুরী সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন দ্বিতীয় হয়েছিলেন।

২৭ বছর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এবার তিনি ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন। লড়বেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। কিন্তু জোটের রাজনীতির কারণে এবারের নির্বাচনে ঈশ্বরগঞ্জ আসনে নৌকা প্রতীক অনুপস্থিত। নৌকার বদলে মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) বর্তমান সাংসদ ফখরুল ইমাম।

খালেকুজ্জামানের হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের জাটিয়া ইউনিয়নের টাঙ্গনগাতী গ্রামে। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। তাঁর ছোট ভাই মো. আবদুর রাশিদ ভূঁইয়া বলেন, পেশাগত কারণে তাঁর ভাই গ্রামের বাড়িতে খুব বেশি একটা যান না।

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হারুয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কাঁচাপাকা সড়ক ধরে টাঙ্গনগাতী গ্রামে যাওয়ার পথে দরগাপাড়া মোড়ে কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা হয়। শহর আলী (৫৫) নামে এক রিকশাচালক বলেন, গত শনিবার রাতে তাঁরা জানতে পেরেছেন টাঙ্গনগাতী গ্রামের উকিল সাহেব (খালেকুজ্জমান) ভোটে দাঁড়িয়েছেন।

পাশের ঘাঘড়াপাড়া চৌরাস্তা মোড়ের এক চায়ের দোকানে কথা হয় কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে। বিএনপির রাজনীতি করেন, এমন প্রায় ১০-১২ জন ভোটার জানান, ভাই, রাজনীতি করলাম ঈশ্বরগঞ্জ বিএনপির নেতা লুৎফুল্লাহেল মাজেদ ভাইকে নিয়ে। এখন শুনছি তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি লুৎফুল্লাহেল মাজেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলাম। মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছি। এখন বৃহত্তর ঐক্যের প্রশ্নে এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে এইচ এম খালেকুজ্জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে। দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীকে নিয়েই আমরা নির্বাচনী মাঠে থাকব। এখন তিনি আমাদেরই প্রার্থী।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here