ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পথে পথে ভিক্ষা করা সেই কিশোরী এখন মডেল

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সোশাল মিডিয়ার এই যুগে প্রতিনিয়তই ঘটছে কত রকমের মজার ঘটনা। অনেক অদ্ভূত ঘটনাও তাক লাগিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই যুগে কে যে কখন কীভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েন তা বলা মুশকিল। আর ‘ভাইরাল জ্বর’ কারোর জন্য অভিশাপের কারোর জীবনে আবার বয়ে নিয়ে আসে আশির্বাদ।

ফিলিপাইনের মেয়ে রিতা গাভিওলার জীবনে আশির্বাদই হলো। পথে পথে ভিক্ষে করতেন কিশোরী রিতা। এক ফটোগ্রাফার তার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সোশাল মিডিয়ায়। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে পড়তেই বদলে গেল তার ভাগ্য। ভিক্ষুক রিতা গাভিওলা এখন নামি মডেল এবং অনেক পয়সাওয়ালাও।

বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেল, মাত্র ১৩ বছর বয়স রিতার একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটিই তার জীবন পাল্টে দিয়েছে। এখন প্রচুর নেটিজেন রিতার প্রতি উৎসুক, উন্মুখ হয়ে থাকেন। কেননা রিতা ইনস্টাগ্রামে যেসব ছবি প্রকাশ করেন তা তরুণ হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে নেটিজেনদের দাবি।

মাত্র চার বছর আগে রিতাকে ফিলিপাইনের লুচেনা শহরে রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। পথে পথে হাত পেতে ভিক্ষা করে বেড়ানো সেই মেয়ে আজ ফ্যাশন দুনিয়ায় রঙ ছড়াচ্ছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন সেলিব্রিটিও।

ইনস্টাগ্রামে তার দেড় লাখের ওপরে ফলোয়ার রয়েছে।

২০১৬ সালে তোফার নামে ফটোগ্রাফার ফিলিপাইনের কুইজেন প্রদেশের লুচেনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি রিতাকে দেখতে পান ভিক্ষে করতে। তার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে একটি ছবিও তোলেন। পরে সে ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে ভাইরাল হয়ে যায়।

সে সময় ফিলিপাইনের অনেক নামি সুন্দরী এমনকি সুন্দরী প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন রিতা গাভিওলা। আর এ কারণে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই টেলিভিশনের রিয়ালিটি শোতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান তিনি।

তার কথা জানতে পেরে অনেকে আর্থিকভাবে সহায়তাও করেছিলেন রিতাকে। বেশ কয়েকটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড থেকেও মডেলিংয়ের জন্য ডাক আসে। কিছুদিন পর টিভি শোতেও হাজির রিতা।

জানা যায়, শৈশবে রিতা বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিলিপাইনের জামবাঙ্গা থেকে লুচেনা শহরে আসেন। তার বাবা একজন ময়লা সংগ্রহকারী। রাস্তা বা ডাস্টবিন থেকে ময়লা সংগ্রহ করতেন। রিতার মা ৫ সন্তানের দেখাশোনা করতেন।

রিতা ‘বাদজাও গার্ল’ নামেও পরিচিত। সমুদ্রে ভাসমান জীবনযাপন করা একটি সম্প্রদায়ের নাম বাদজাও সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায় থেকেই রিতার আগমন। যার কারণে তাকে এই নামে ডাকা হয়।

রিতা গাভিওলা মডেলিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা শেষ করায় খুবই মনযোগী।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
২৮২ Time View

পথে পথে ভিক্ষা করা সেই কিশোরী এখন মডেল

আপডেট সময় : ০৭:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সোশাল মিডিয়ার এই যুগে প্রতিনিয়তই ঘটছে কত রকমের মজার ঘটনা। অনেক অদ্ভূত ঘটনাও তাক লাগিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই যুগে কে যে কখন কীভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েন তা বলা মুশকিল। আর ‘ভাইরাল জ্বর’ কারোর জন্য অভিশাপের কারোর জীবনে আবার বয়ে নিয়ে আসে আশির্বাদ।

ফিলিপাইনের মেয়ে রিতা গাভিওলার জীবনে আশির্বাদই হলো। পথে পথে ভিক্ষে করতেন কিশোরী রিতা। এক ফটোগ্রাফার তার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সোশাল মিডিয়ায়। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে পড়তেই বদলে গেল তার ভাগ্য। ভিক্ষুক রিতা গাভিওলা এখন নামি মডেল এবং অনেক পয়সাওয়ালাও।

বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেল, মাত্র ১৩ বছর বয়স রিতার একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটিই তার জীবন পাল্টে দিয়েছে। এখন প্রচুর নেটিজেন রিতার প্রতি উৎসুক, উন্মুখ হয়ে থাকেন। কেননা রিতা ইনস্টাগ্রামে যেসব ছবি প্রকাশ করেন তা তরুণ হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে নেটিজেনদের দাবি।

মাত্র চার বছর আগে রিতাকে ফিলিপাইনের লুচেনা শহরে রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। পথে পথে হাত পেতে ভিক্ষা করে বেড়ানো সেই মেয়ে আজ ফ্যাশন দুনিয়ায় রঙ ছড়াচ্ছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন সেলিব্রিটিও।

ইনস্টাগ্রামে তার দেড় লাখের ওপরে ফলোয়ার রয়েছে।

২০১৬ সালে তোফার নামে ফটোগ্রাফার ফিলিপাইনের কুইজেন প্রদেশের লুচেনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি রিতাকে দেখতে পান ভিক্ষে করতে। তার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে একটি ছবিও তোলেন। পরে সে ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে ভাইরাল হয়ে যায়।

সে সময় ফিলিপাইনের অনেক নামি সুন্দরী এমনকি সুন্দরী প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন রিতা গাভিওলা। আর এ কারণে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই টেলিভিশনের রিয়ালিটি শোতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান তিনি।

তার কথা জানতে পেরে অনেকে আর্থিকভাবে সহায়তাও করেছিলেন রিতাকে। বেশ কয়েকটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড থেকেও মডেলিংয়ের জন্য ডাক আসে। কিছুদিন পর টিভি শোতেও হাজির রিতা।

জানা যায়, শৈশবে রিতা বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিলিপাইনের জামবাঙ্গা থেকে লুচেনা শহরে আসেন। তার বাবা একজন ময়লা সংগ্রহকারী। রাস্তা বা ডাস্টবিন থেকে ময়লা সংগ্রহ করতেন। রিতার মা ৫ সন্তানের দেখাশোনা করতেন।

রিতা ‘বাদজাও গার্ল’ নামেও পরিচিত। সমুদ্রে ভাসমান জীবনযাপন করা একটি সম্প্রদায়ের নাম বাদজাও সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায় থেকেই রিতার আগমন। যার কারণে তাকে এই নামে ডাকা হয়।

রিতা গাভিওলা মডেলিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা শেষ করায় খুবই মনযোগী।