ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলাতক আফগান সেনাদের যেভাবে কাছে টানছে তালেবান

Reporter Name

ফাইল ছবি

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আফগান সেনাবাহিনীর পলাতক সদস্যদের নতুন সরকারের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। 

সরকার গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে সোমবার রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এই আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘আফগান সেনাবাহিনীর যারা গত ২০ বছরে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তাদেরকে তালেবান সদস্যদের সঙ্গে নিরাপত্তা বিভাগে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’ 

সেই সঙ্গে হুশিয়ারিও দেন তালেবান মুখপাত্র। বলেন, নতুন সরকারের আমলে কোনো ধরনের অশান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। 

আফগান সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ, যা তালেবান বাহিনীর চার গুণ। আধুনিক আফগান সামরিক বাহিনী গঠনে ২০ বছর বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের জন্য প্রতিটি বড় শহরে নির্মাণ করা হয়েছিল সর্বাধুনিক সেনাছাউনি। আধুনিক সমরাস্ত্র তো ছিলই, আরও ছিল প্রায় দেড়শ যুদ্ধবিমান সংবলিত বিমানবাহিনী। 

তারপরও কয়েক হাজার তালেবানের অভিযানের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়ে সুসজ্জিত আফগান বাহিনী। আত্মসমর্পণ করে প্রাণ বাঁচায় কেউ কেউ। কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছে। আবার কেউ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। 

পালিয়ে থাকা সেনাদের উদ্দেশে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। দেশ এখন ক্রমেই সংকট কাটিয়ে উঠছে। এখন সময় শান্তি ও দেশগঠনের। এ সময় আমাদের জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থন দরকার।’ 

হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি আরেকবার অশান্তি ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়, নিঃসন্দেহে তারা আমাদের শত্রু বলে গন্য হবে। এবং তাদের ওপর কঠোর আঘাত হানা হবে। 

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
১২৮ Time View

পলাতক আফগান সেনাদের যেভাবে কাছে টানছে তালেবান

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আফগান সেনাবাহিনীর পলাতক সদস্যদের নতুন সরকারের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। 

সরকার গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে সোমবার রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এই আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘আফগান সেনাবাহিনীর যারা গত ২০ বছরে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তাদেরকে তালেবান সদস্যদের সঙ্গে নিরাপত্তা বিভাগে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’ 

সেই সঙ্গে হুশিয়ারিও দেন তালেবান মুখপাত্র। বলেন, নতুন সরকারের আমলে কোনো ধরনের অশান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। 

আফগান সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ, যা তালেবান বাহিনীর চার গুণ। আধুনিক আফগান সামরিক বাহিনী গঠনে ২০ বছর বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের জন্য প্রতিটি বড় শহরে নির্মাণ করা হয়েছিল সর্বাধুনিক সেনাছাউনি। আধুনিক সমরাস্ত্র তো ছিলই, আরও ছিল প্রায় দেড়শ যুদ্ধবিমান সংবলিত বিমানবাহিনী। 

তারপরও কয়েক হাজার তালেবানের অভিযানের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়ে সুসজ্জিত আফগান বাহিনী। আত্মসমর্পণ করে প্রাণ বাঁচায় কেউ কেউ। কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছে। আবার কেউ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। 

পালিয়ে থাকা সেনাদের উদ্দেশে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। দেশ এখন ক্রমেই সংকট কাটিয়ে উঠছে। এখন সময় শান্তি ও দেশগঠনের। এ সময় আমাদের জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থন দরকার।’ 

হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি আরেকবার অশান্তি ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়, নিঃসন্দেহে তারা আমাদের শত্রু বলে গন্য হবে। এবং তাদের ওপর কঠোর আঘাত হানা হবে।