ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পল্টনে অনুমতি নয়, সমাবেশ করলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা

Reporter Name

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক

সবুজদেশ ডেস্কঃ

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এই নির্দেশ অমান্য করলে বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বিএনপির গণসমাবেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পল্টনের সামনে ১০ লাখ লোকের জায়গা হবে না। সর্বোচ্চ এক লাখ লোক দাঁড়াতে পারবে। বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। যাতে কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বিএনপির। এতে করে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা বিবেচনায় তাদের পল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।

গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, বিএনপি ঢাকা শহরে ১০ লাখ লোক জামাতের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কাজেই পার্টি অফিসের সামনে জনদূর্ভোগ করে এবং ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে তাদের সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না।

বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আপনারা যে কোনো খোলা মাঠে যেতে পারেন বা অন্য কোনো প্রস্তাব দিতে পারেন। অন্য প্রস্তাব হিসেবে তাদের বলা হয়েছে ইজতেমা মাঠ আছে, সেখানে ১০ লাখ লোক জমায়েত করতে পারবেন। পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ আছে, সেখানে যেতে পারেন।

দুই কারণে বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, প্রথম কারণ পল্টনে এত লোকের জায়গা হবে না। তারপরও যদি তারা সেখানে সমাবেশ করে তবে বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে। যার ওপর বিএনপির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং পুলিশেরও কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। একই সঙ্গে এই ১০ লাখ লোক ঢাকার সব রাস্তা দখল করলে ঢাকাবাসীর জন্য একটা চরম দুর্ভোগের বিষয় হবে।

তিনি আরও বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়। পরে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে আগ্রহী না। তারা পল্টন বা তার আশপাশে কোনো রাস্তায় করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে আমাদের ডিএমপির সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বা এর মতো কোনো খোলা মাঠে সমাবেশ করতে হবে। আমরা জনদুর্ভোগ এবং জননিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
১১২ Time View

পল্টনে অনুমতি নয়, সমাবেশ করলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০৭:১৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এই নির্দেশ অমান্য করলে বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বিএনপির গণসমাবেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পল্টনের সামনে ১০ লাখ লোকের জায়গা হবে না। সর্বোচ্চ এক লাখ লোক দাঁড়াতে পারবে। বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। যাতে কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বিএনপির। এতে করে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা বিবেচনায় তাদের পল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।

গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, বিএনপি ঢাকা শহরে ১০ লাখ লোক জামাতের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কাজেই পার্টি অফিসের সামনে জনদূর্ভোগ করে এবং ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে তাদের সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না।

বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আপনারা যে কোনো খোলা মাঠে যেতে পারেন বা অন্য কোনো প্রস্তাব দিতে পারেন। অন্য প্রস্তাব হিসেবে তাদের বলা হয়েছে ইজতেমা মাঠ আছে, সেখানে ১০ লাখ লোক জমায়েত করতে পারবেন। পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ আছে, সেখানে যেতে পারেন।

দুই কারণে বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, প্রথম কারণ পল্টনে এত লোকের জায়গা হবে না। তারপরও যদি তারা সেখানে সমাবেশ করে তবে বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে। যার ওপর বিএনপির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং পুলিশেরও কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। একই সঙ্গে এই ১০ লাখ লোক ঢাকার সব রাস্তা দখল করলে ঢাকাবাসীর জন্য একটা চরম দুর্ভোগের বিষয় হবে।

তিনি আরও বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়। পরে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে আগ্রহী না। তারা পল্টন বা তার আশপাশে কোনো রাস্তায় করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে আমাদের ডিএমপির সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বা এর মতো কোনো খোলা মাঠে সমাবেশ করতে হবে। আমরা জনদুর্ভোগ এবং জননিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।