ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় তিন সেনাসহ ১০ জন নিহত

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

পাকিস্তানের লাক্কি মারওয়াত জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে তিনটি পৃথক হামলায় তিন সেনাসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার ‘সন্ত্রাসীরা’ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে তিনটি হামলা চালায়। এতে তিনজন সেনা এবং ৭ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

নিহত তিন সেনারা হলেন, নওশেরা জেলার বাসিন্দা নায়েব সুবেদার তাজ মীর (৪০), অ্যাবোটাবাদের হাবিলদার জাকির আহমেদ (৩৮) এবং ডেরা ইসমাইল খান জেলার সিপাহী আবিদ হুসেন (২৯)।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রসরকারি স্নাতকোত্তর কলেজে অবস্থিত একটি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পের কাছে প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ সময় একজন মোটরসাইকেল আরোহি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলার পরে গুলি বিনিময় হলে সেনারা চার সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।

অপর দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে মারওয়াত জেলার আমির কালাম এবং তাজবি খেলা এলাকায়। এসব হামলায় সন্ত্রাসীদের প্রধান কমান্ডার মুসা খানসহ আরও তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে দেশটির সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা বলছে, সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুর পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

পাকিস্তানের ‘তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান’ সংগঠন প্রথমবারের মতো এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির মুখপাত্র মোল্লা মোহাম্মদ কাসিম এক বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হামলার খবর পাওয়া যায়। যদিও তখন এসব হামলার ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে সামরিক বাহিনী কিংবা নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সৈন্যরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সব হামলা প্রতিহত করেছে।

সেনাবাহিনী বলছে, “সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের সাহসী সৈন্যদের এই ধরনের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করবে।”

শুক্রবার লাক্কি মারওয়াতের ডিপিও আশফাক খান বন্দুকযুদ্ধের স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। পাশাপাশি জেলা জুড়ে বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
৯৫ Time View

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় তিন সেনাসহ ১০ জন নিহত

আপডেট সময় : ১১:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

পাকিস্তানের লাক্কি মারওয়াত জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে তিনটি পৃথক হামলায় তিন সেনাসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার ‘সন্ত্রাসীরা’ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে তিনটি হামলা চালায়। এতে তিনজন সেনা এবং ৭ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

নিহত তিন সেনারা হলেন, নওশেরা জেলার বাসিন্দা নায়েব সুবেদার তাজ মীর (৪০), অ্যাবোটাবাদের হাবিলদার জাকির আহমেদ (৩৮) এবং ডেরা ইসমাইল খান জেলার সিপাহী আবিদ হুসেন (২৯)।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রসরকারি স্নাতকোত্তর কলেজে অবস্থিত একটি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পের কাছে প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ সময় একজন মোটরসাইকেল আরোহি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলার পরে গুলি বিনিময় হলে সেনারা চার সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।

অপর দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে মারওয়াত জেলার আমির কালাম এবং তাজবি খেলা এলাকায়। এসব হামলায় সন্ত্রাসীদের প্রধান কমান্ডার মুসা খানসহ আরও তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে দেশটির সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা বলছে, সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুর পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

পাকিস্তানের ‘তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান’ সংগঠন প্রথমবারের মতো এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির মুখপাত্র মোল্লা মোহাম্মদ কাসিম এক বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হামলার খবর পাওয়া যায়। যদিও তখন এসব হামলার ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে সামরিক বাহিনী কিংবা নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সৈন্যরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সব হামলা প্রতিহত করেছে।

সেনাবাহিনী বলছে, “সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের সাহসী সৈন্যদের এই ধরনের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করবে।”

শুক্রবার লাক্কি মারওয়াতের ডিপিও আশফাক খান বন্দুকযুদ্ধের স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। পাশাপাশি জেলা জুড়ে বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।