ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পালানোর সময় ঘানির মনে ছিল হত্যা করে লাশ ঝুলানোর কথা

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সহকারীরা যখন দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন তখন তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান এই ভয়ে যে জঙ্গিরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশ করেছে। তিনি তাদেরকে কিছু না বলে, কিছু বুঝতে না দিয়েই বিনা নোটিশে আফগানিস্তান ছাড়েন কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন তালেবানরা তাকে হত্যা করবে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। আফগান সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়- এক শীর্ষ সহযোগী ঘানিকে মিথ্যা কথে বলেন। তিনি তাকে বলেন যে, জঙ্গিরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢুকে পড়েছে, তারা তাকে হত্যা করার জন্য প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালাচ্ছে। সাথে সাথে ঘানি সস্ত্রীক উজবেকিস্তানের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে চড়েন এবং সেখান থেকে বিমানে করে আরব আমিরাত পৌঁছেন।

কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে তালেবানরা তখনো প্রাসাদে পৌঁছতে সক্ষম হন নি। তারা তখন কাবুলের বাইরে থাকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছিল আর একটি অস্থায়ী সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছিল। ঘানি ভয় পাচ্ছিলেন যে, তার পরিণতিও নাজিবুল্লাহ (সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ আহমাদজাই) এর মতো হবে যাকে ১৯৯৬ সালে হত্যা করে লাশ ট্রাফিক পোস্টে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

ঘানি নিজ দেশের কাউকে এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদেরও তার দেশত্যাগের বিষয়ে কিছু জানান নি। এরপর সরকারের পতন হয় এবং বাকি সরকারি কর্মকর্তারা আফগানিস্তান ছাড়তে তোড়জোড় শুরু করেন।

যদিও এক ফেসবুক পোস্টে ঘানি উক্ত সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, রক্তপাত এড়াতেই তাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
১৫৬ Time View

পালানোর সময় ঘানির মনে ছিল হত্যা করে লাশ ঝুলানোর কথা

আপডেট সময় : ০৯:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সহকারীরা যখন দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন তখন তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান এই ভয়ে যে জঙ্গিরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশ করেছে। তিনি তাদেরকে কিছু না বলে, কিছু বুঝতে না দিয়েই বিনা নোটিশে আফগানিস্তান ছাড়েন কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন তালেবানরা তাকে হত্যা করবে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। আফগান সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়- এক শীর্ষ সহযোগী ঘানিকে মিথ্যা কথে বলেন। তিনি তাকে বলেন যে, জঙ্গিরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢুকে পড়েছে, তারা তাকে হত্যা করার জন্য প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালাচ্ছে। সাথে সাথে ঘানি সস্ত্রীক উজবেকিস্তানের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে চড়েন এবং সেখান থেকে বিমানে করে আরব আমিরাত পৌঁছেন।

কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে তালেবানরা তখনো প্রাসাদে পৌঁছতে সক্ষম হন নি। তারা তখন কাবুলের বাইরে থাকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছিল আর একটি অস্থায়ী সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছিল। ঘানি ভয় পাচ্ছিলেন যে, তার পরিণতিও নাজিবুল্লাহ (সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ আহমাদজাই) এর মতো হবে যাকে ১৯৯৬ সালে হত্যা করে লাশ ট্রাফিক পোস্টে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

ঘানি নিজ দেশের কাউকে এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদেরও তার দেশত্যাগের বিষয়ে কিছু জানান নি। এরপর সরকারের পতন হয় এবং বাকি সরকারি কর্মকর্তারা আফগানিস্তান ছাড়তে তোড়জোড় শুরু করেন।

যদিও এক ফেসবুক পোস্টে ঘানি উক্ত সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, রক্তপাত এড়াতেই তাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।