ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিস্তল উঁচু করে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা, ক্লোজ হলেন এএসআই

 

পিস্তল উঁচু করে নিজেকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেও শেষ রক্ষা হলো না ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. লুৎফর রহমানের। ওই ঘটনার জেরে (৯ এপ্রিল) বুধবার লুৎফর রহমান কে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাঁড়িতেই কর্মরত আছেন আরেক পুলিশ সদস্য সবুজ হোসেন।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, মো. হাফিজুর রহমান উজ্জল নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন পুলিশের দুই সদস্য। সে সময় অভিযোগকারী হাফিজুর রহমান উজ্জল ও পুলিশের দুই সদস্যকে মারধর করেন উত্তেজিত নারীরা। এই ঘটনায় হাফিজুর রহমান উজ্জল থানায় এজাহার দিলে মামলা হিসেবে তা রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছেন হাফিজুর রহমান।

তবে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর পুলিশ ও অভিযোগকারীর ওপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন।

ভুক্তভোগী এএসআই লুৎফর রহমান সবুজদেশ নিউজকে বলেন, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন পাচলিয়া গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে সোলাইমান তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে। তখন ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগকারীকে সাথে নিয়ে এক কনস্টেবলসহ বিবাদীদের বাড়িতে যায়। এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ির লোকজন আমাদের ওপর তেড়ে আসে। মারতে উদ্যত হয়। এই ঘটনায় আমার জিডি করা আছে।

অভিযোগকারী হাফিজুর রহমান উজ্জল কোটচাঁদপুর উপজেলার পাচলিয়া গ্রামের মঞ্ছুর আলীর ছেলে। তিনি সবুজদেশ নিউকজে বলেন, পাচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জেরে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পরে সোলাইমান হঠাৎ করে এসে আমার মোটরসাইকেল কেড়ে নিয়ে যায়। এরপরে আমি ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দিলে ক্যাম্পের আইসি লুৎফর রহমান ও একজন কনস্টেবল আমাকে নিয়ে সোলাইমানের বাড়িতে যায়। তাদের বাড়িতে গেলে উঠানে আমার মোটরসাইকেল দেখতে পাই। মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে গেলে বাড়ির নারী-পুরুষ এক হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এই ঘটনায় থানায় এজাহার জমা দিয়েছি।

এদিকে সেদিনের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সোলাইমানের বাড়ির ও প্রতিবেশি নারী-পুরুষ মিলে এএসআই লুৎফর ও হাফিজুরের সাথে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়েছে। কোটচাঁদপুরের স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় এএসআই লুৎফর রহমান স্বীকার করেছেন ঘটনার সময় সোলাইমানের বাড়ির নারী-পুরুষ মিলে তাদের ওপর হামলা করতে উদ্যত হলে তিনি পিস্তল উঁচু করে গুলি করার ভয় দেখালে তারা পিছু হঠে। এই কথপোকথনের রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর সবুজদেশ নিউজকে বলেন, একটি টাকা লেনদেনের জেরে সোলাইমান মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। টাকা দিয়ে দিলে মোটরসাইকেল ফিরিয়ে দিবে। টাকা লেনদেনের জেরে মোটরসাইকেল নিয়েছে জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসে। এছাড়া সেখানে তেমন কিছু ঘটেনি।

সবুজদেশ/এসএএস

পিস্তল উঁচু করে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা, ক্লোজ হলেন এএসআই

Update Time : ০৭:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

পিস্তল উঁচু করে নিজেকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেও শেষ রক্ষা হলো না ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. লুৎফর রহমানের। ওই ঘটনার জেরে (৯ এপ্রিল) বুধবার লুৎফর রহমান কে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাঁড়িতেই কর্মরত আছেন আরেক পুলিশ সদস্য সবুজ হোসেন।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, মো. হাফিজুর রহমান উজ্জল নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন পুলিশের দুই সদস্য। সে সময় অভিযোগকারী হাফিজুর রহমান উজ্জল ও পুলিশের দুই সদস্যকে মারধর করেন উত্তেজিত নারীরা। এই ঘটনায় হাফিজুর রহমান উজ্জল থানায় এজাহার দিলে মামলা হিসেবে তা রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছেন হাফিজুর রহমান।

তবে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর পুলিশ ও অভিযোগকারীর ওপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন।

ভুক্তভোগী এএসআই লুৎফর রহমান সবুজদেশ নিউজকে বলেন, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন পাচলিয়া গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে সোলাইমান তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে। তখন ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগকারীকে সাথে নিয়ে এক কনস্টেবলসহ বিবাদীদের বাড়িতে যায়। এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ির লোকজন আমাদের ওপর তেড়ে আসে। মারতে উদ্যত হয়। এই ঘটনায় আমার জিডি করা আছে।

অভিযোগকারী হাফিজুর রহমান উজ্জল কোটচাঁদপুর উপজেলার পাচলিয়া গ্রামের মঞ্ছুর আলীর ছেলে। তিনি সবুজদেশ নিউকজে বলেন, পাচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জেরে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পরে সোলাইমান হঠাৎ করে এসে আমার মোটরসাইকেল কেড়ে নিয়ে যায়। এরপরে আমি ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দিলে ক্যাম্পের আইসি লুৎফর রহমান ও একজন কনস্টেবল আমাকে নিয়ে সোলাইমানের বাড়িতে যায়। তাদের বাড়িতে গেলে উঠানে আমার মোটরসাইকেল দেখতে পাই। মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে গেলে বাড়ির নারী-পুরুষ এক হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এই ঘটনায় থানায় এজাহার জমা দিয়েছি।

এদিকে সেদিনের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সোলাইমানের বাড়ির ও প্রতিবেশি নারী-পুরুষ মিলে এএসআই লুৎফর ও হাফিজুরের সাথে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়েছে। কোটচাঁদপুরের স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় এএসআই লুৎফর রহমান স্বীকার করেছেন ঘটনার সময় সোলাইমানের বাড়ির নারী-পুরুষ মিলে তাদের ওপর হামলা করতে উদ্যত হলে তিনি পিস্তল উঁচু করে গুলি করার ভয় দেখালে তারা পিছু হঠে। এই কথপোকথনের রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর সবুজদেশ নিউজকে বলেন, একটি টাকা লেনদেনের জেরে সোলাইমান মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। টাকা দিয়ে দিলে মোটরসাইকেল ফিরিয়ে দিবে। টাকা লেনদেনের জেরে মোটরসাইকেল নিয়েছে জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসে। এছাড়া সেখানে তেমন কিছু ঘটেনি।

সবুজদেশ/এসএএস