রংপুর প্রতিনিধিঃ

রংপুরের পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফছার আলী ও সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গাকে বহিস্কার করায় উপজেলার তৃণমূল পযার্য়ে অসন্তোষ ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পীরগাছার শীর্ষ এই দুই নেতার পূর্নবহালের দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, পীরগাছা উপজেলা বিএনপিকে যারা জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসে সংগঠিত করেছে। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলন সংগ্রাম করে তৃণমূলে বিএনপির অবস্থানকে শক্ত অবস্থানে ধরে রেখেছে। সেই নেতাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত অবৈধ ও ষড়যন্ত্রমূলক। এটা মেনে নেয়া যায় না।

পীরগাছার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানান, দলের উপজেলা সভাপতি আফছার আলী দুইবারের ইউপি সদস্য ও তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি পীরগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং জনপ্রিয় নেতা। পাশাপাশি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি কারমাইকেল কলেজ ছাত্রদলের নেতা ছাড়াও পীরগাছা উপজেলা যুবদলের দুইবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পীরগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ব্যবসায়ী হিসেবেও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাঙ্গা ও সভাপতি আফছারের নেতৃত্বে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয় লাভ করা সম্ভব হয়েছে। তাদের কারণে রংপুর জেলার মধ্যে পীরগাছা উপজেলা বিএনপি একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যার কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পীরগাছায় ৮৪টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেয়া হয়নি।

উপজেলার অন্নদানগর বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান, কল্যাণীর সভাপতি জিকরুল আমিন, কৈকুড়ির সম্পাদক মনছুর আলী, পারুল ইউপির সাধারণ সম্পাদক বাবলু, ইটাকুমারীর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, ছাওলার সভাপতি আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী বারী, জেলা যুবদলের নেতা আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলেন, আফসার-রাঙ্গা হচ্ছে পীরগাছা উপজেলা বিএনপি’র প্রাণ। তারা জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করেছেন। কর্মী তৈরি করেছেন। দলকে সংগঠিত করেছেন। দলের নেতাকর্মীদের সুখে-দুখে পাশে ছিলেন তাদের বাদ দিয়ে পীরগাছা বিএনপি কল্পনাও করা যায় না। আমরা পীরগাছা উপজেলা ও নয় ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা তাদের পূর্ন বহাল দাবি করছি।

পীরগাছা উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার মতিয়ার রহমান জানান, স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলন থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনে যাদের অবদান সাহসিকতার। তাদের মতো নেতাকে কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ না দিয়ে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে এবং আত্মপক্ষ সমর্পনের সুযোগ না দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে দলের সকল পদ-পদবী থেকে অব্যহতি দেয়া ষড়যন্ত্রমূলক। যা পীরগাছা উপজেলা বিএনপিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত বলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন। তাদের পূর্ন বহাল না করা হলে পীরগাছা উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সকল সদস্য, নেতা-কর্মী দল থেকে গণপদত্যাগ করার পাশাপাশি দুর্বার আন্দোলনে হুশিয়ারী দেয়া হয়।

উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির আহম্দে বলেন, যারা শহীদ জিয়াউর রহমানের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপিকে সু-সংগঠিত করেছেন। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলন সংগ্রাম করে তৃণমূলে বিএনপির অবস্থানকে শক্ত অবস্থানে ধরে রেখেছেন। তাদের ষড়যন্ত্র মূলক অব্যাহিত দেয়া ঠিক হয়নি। আমরা পীরগাছা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে তাদের পুর্নবহাল করার দাবি করছি। অন্যথায় গণপদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here