ঢাকাঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মজনু আদালতে অস্বাভাবিক আচরণ করেছেন। পুলিশের এক সদস্যের শার্টের কলার ধরে টান দিয়েছেন। আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। পুলিশসহ উপস্থিত ব্যক্তিদের গালিগালাজ করেছেন। মজনুর এমন অস্বাভাবিক আচরণের কারণে রায় ঘোষণার আগে আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের এজলাসকক্ষের বাইরে যেতে বলা হয়। রায় ঘোষণার আগে আজ বৃহস্পতিবার আদালতকক্ষে এমন অস্বাভাবিক আচরণ করেন আসামি মজনু।

রায় ঘোষণার আগে মজনুকে বেলা আড়াইটার দিকে আদালতে তোলে পুলিশ। আসামির কাঠগড়ায় তোলার পর মজনু অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে মজনু বলতে থাকেন, তাকে যেন আজই ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশের এক সদস্যের শার্টের কলার ধরে টান দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলার একমাত্র আসামি মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭–এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আজ এ রায় দেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আফরোজা ফারহানা আহমেদ বলেন, রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। মাত্র ১৩ কার্যদিবসে মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে। বাদীপক্ষে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী আবদুর রশীদ বলেন, রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট।

অপর দিকে মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেছেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। মজনুর পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় তাঁর পক্ষে মামলা লড়ছেন ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইডের আইনজীবী রবিউল ইসলাম।

৫ নভেম্বর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। গত ২৬ আগস্ট মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৬ মার্চ এই মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

মামলার অভিযোগপত্রে ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনসহ মামলার আলামত হিসেবে ২০ ধরনের জিনিস জব্দ দেখানো হয়। আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ বলেছে, গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গলফ ক্লাবসংলগ্ন স্থানে পৌঁছান। এ সময় আসামি মজনু তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে মজনুকে গ্রেপ্তার করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here