বগুড়ার গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খায়রুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, নিহত ওই যুবক ডাকাতদলের সদস্য। বুধবার গভীর রাতে কোঁচামারী সেতুর কাছে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত খায়রুল ইসলাম গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।

গাবতলী থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল ডাকাত কোঁচামারী সেতুর কাছে সুখানপুকুর-সৈয়দ আহমদ কলেজ সড়কে কাটা গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

গাবতলী থানার টহল পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা ৫ রাউন্ড গুলি করে।

ডাকাতদের বন্দুকের গুলির স্প্লিন্টারের আঘাতে এসআই জাহিদ, এএসআই হাবিব ও এএসআই আউয়াল আহত হন। অবস্থা বেগতিক দেখে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে খায়রুল ইসলাম পড়ে যান।

রাত সাড়ে ৩টার দিকে আহত তিন পুলিশ ও খায়রুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন এবং সকাল ৬.২০ মিনিটে খায়রুল মারা যান।

ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলির খোসা, একটি সামুরাই, একটি হাঁসুয়া, একটি চাপাতি ও গাছ কাটার দুটি করাত পাওয়া যায়।

নিহত খায়রুল নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমারছেও গ্রামে পরিবার নিয়ে বাস করতেন। তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শজিমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ডাকাত খায়রুলের লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here