পুলিশ হওয়ায় আমার স্ত্রী চিকিৎসা পেল না—ঝিনাইদহের কন্সটেবল আসাদ
সবুজদেম ডেক্সঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে দায়িত্বপালন সহ চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে থানার কনেজটেবল আহাদ। আহাদ জানান সকালে তার অন্তসত্তা স্ত্রী সোনিয়ার প্রসাব বেদনা উঠলে হরিণাকুন্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে চিকিৎসার জন্য নিলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার জামিনুর রশিদ রবিবার ও বুধবার হাসপাতালে সির্জার করা হয় না বলে জানান তখন আহাদ ডাক্তার আলমগীরের পরামর্শে ভাই ভাই ক্লিনিকে ভর্তি করে।
ডাক্তার আলোমগীর সির্জার করার সম্মতি জানালে এ্যানেস্তেসিয়া ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম রুগীর হেমগ্লোবিন কম থাকায় এ্যানেস্তেসিয়া করতে অসম্মতি জানায়,বলে দুই ব্যাগ ব্লাড দেওয়ার পর এ্যানেস্তেসিয়া করা সম্ভব হবে অন্যথায় রুগীর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
উপায় অন্ত না পেয়ে কনজ আহাদ থানা সেকেন্ড অফিসার এস আই আওয়ালকে বিষয়টি জালেনে তিনি তৎক্ষনাত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার জামিনুর রশিদ,ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম,ও ডাক্তার আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করে আহাদের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত উল্লেখিত ডা: গণ তাকে চিকিৎসা দিতে অপারোগতা প্রকাশ করলে তিনি ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করেন।
টি এইচ এ ডা: জামিনুর রশিদ রুগিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিলেও রবিবারে সির্জার করা সম্ভব নয় বলে জানান। এ সময় রুগীর অবস্থ্য আরোও সংকটাপন্ন হওয়ায় আহাদ সকাল ১১ টা নাগাত স্ত্রী ও সন্তানকে বাচানোর জন্য ঝিনাইদহ শামিমা ক্লিনিকে ভর্তি করলে ডাক্তার শামিমা সুলতানা রুগীর সির্জার সম্পন্ন করে। আহাদ আক্ষেপ করে বলেছেন শুধু মাত্র পুলিশের স্ত্রী হওয়ায় আমার স্ত্রী হরিণাকুন্ডু হাসপাতালে চিকিৎসা পেলনা।
এ ব্যাপারে ডাক্তার শামিমা সুলতানার যোগাযোগ করলে তিনি মা ও শিশু উভয়ে সুস্থ্য আছে বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে স্বস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জামিনুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,হাসপাতালে ডাক্তার সংকট থাকায় শনিবার ও মঙ্গলবার এ্যানেস্তেশিয়া ডাক্তার আশরাফুল ইসলামের ২৪ ঘন্টা ডিউটি থাকার কারণে পরের দিন রবিবার ও বুধবার হাসপাতালে সির্জার অপারেশন বন্ধ রাখা হয়, রুগীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করার জন্য বলা হলেও কনজ আহাদ তার স্ত্রীকে আমার হাসপাতালে ভর্তি করেনি।
এ ব্যাপারে ডা: আশরাফুল ইসলাম জানান ২ দিন ২৪ ঘন্টা ডিউটি থাকায় সংগত কারণে পরের ২দিন বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আমাকে ছুটি দেওয়া হয় ,ভাই ভাই ক্লিনিকে সির্জার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান রুগীর রক্তের পারসেন্টটেন্স কম থাকায় ডাক্তার আলমগীর সম্মতি জানালেও প্রসুতি রুগীকে অজ্ঞান করার ইনজেকশন প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি।