ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূজামণ্ডপের পাশে দোকানপাট-মেলা বসতে দেওয়া হবে না

Reporter Name

ফাইল ফটো

ঢাকা:

পূজামণ্ডপের আশপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে আজান ও নামাজের সময় মসজিদের কাছের পূজামণ্ডপগুলোতে সংযতভাবে পূজাঅর্চনা ও বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

রোববার (০৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্দিরে প্রবেশের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মন্দিরে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ক্ষেত্র বিশেষে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। থার্মাল স্ক্যানার থাকবে, কারো শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পূজামণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজামণ্ডপে আরাধনা করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।

আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আজান ও নামাজের সময় মসজিদের কাছের পূজামণ্ডপগুলোতে সংযতভাবে পূজাঅর্চনা করা, সেই সময়ের জন্য বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে পূজামণ্ডপগুলোকে বলা হয়েছে। আজান ও নামাজের সময় তারা যেন বিরতি দেন। অনেক জায়গায় মসজিদ ও মন্দির অনেক পাশাপাশি, সেসব জায়গায় তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পূজামণ্ডপের আশেপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না। হাউজি ও জুয়া খেলা পূজামন্ডপে করতে দেওয়া হবে না। বাজি, পটকা ফোটানো যাবে না, মাদক সেবন করা যাবে না। অস্থায়ী পূজামণ্ডপগুলোকে নির্দিষ্ট দিনেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।

পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড় বড় পূজামণ্ডপে র‌্যাব ও পুলিশের বিশেষ টহলের সঙ্গে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হবে। সীমান্ত এলাকার পূজামণ্ডপে বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থায় থাকবে। কোনো দুষ্কৃতিকারী পূজামণ্ডপ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে অথবা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূজামণ্ডপে ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটলে পূজামণ্ডপের কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা সদর; সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়; পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বিজিবি, র‌্যাব, এনএসআই, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
১৬৪ Time View

পূজামণ্ডপের পাশে দোকানপাট-মেলা বসতে দেওয়া হবে না

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা:

পূজামণ্ডপের আশপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে আজান ও নামাজের সময় মসজিদের কাছের পূজামণ্ডপগুলোতে সংযতভাবে পূজাঅর্চনা ও বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

রোববার (০৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্দিরে প্রবেশের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মন্দিরে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ক্ষেত্র বিশেষে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। থার্মাল স্ক্যানার থাকবে, কারো শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পূজামণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজামণ্ডপে আরাধনা করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।

আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আজান ও নামাজের সময় মসজিদের কাছের পূজামণ্ডপগুলোতে সংযতভাবে পূজাঅর্চনা করা, সেই সময়ের জন্য বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে পূজামণ্ডপগুলোকে বলা হয়েছে। আজান ও নামাজের সময় তারা যেন বিরতি দেন। অনেক জায়গায় মসজিদ ও মন্দির অনেক পাশাপাশি, সেসব জায়গায় তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পূজামণ্ডপের আশেপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না। হাউজি ও জুয়া খেলা পূজামন্ডপে করতে দেওয়া হবে না। বাজি, পটকা ফোটানো যাবে না, মাদক সেবন করা যাবে না। অস্থায়ী পূজামণ্ডপগুলোকে নির্দিষ্ট দিনেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।

পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড় বড় পূজামণ্ডপে র‌্যাব ও পুলিশের বিশেষ টহলের সঙ্গে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হবে। সীমান্ত এলাকার পূজামণ্ডপে বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থায় থাকবে। কোনো দুষ্কৃতিকারী পূজামণ্ডপ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে অথবা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূজামণ্ডপে ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটলে পূজামণ্ডপের কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা সদর; সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়; পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বিজিবি, র‌্যাব, এনএসআই, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।