ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শত্রুতার বলি তরমুজ ক্ষেত

 

সাতক্ষীরায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক চাষির আনুমানিক ১২ হাজার তরমুজের চারা উপড়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে নিয়ে শুক্রবার (২৮ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী কৃষক শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালী ইউনিয়নের ওমর ফারুক ও মো. রাশিদুল ইসলাম প্রতি বছর কৈখালী বিলে অন্যের জমি নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও তারা ১০ বিঘা জমিতে ধান ও তরমুজ চাষ শুরু করেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার হাবিবুল্ল্যাহ, আল-আমিন হোসেন ও ফারুক হোসেন গভীর রাতে তরমুজ ক্ষেতে প্রবেশ করে আনুমানিক ১২ হাজার তরমুজের চারা উপড়ে ফেলে। এতে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, কৈখালীর তরমুজ দেশে বিখ্যাত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তরমুজ চাষ করে সংসার চালায়। যারা এমন ধরনের কাজে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।

অভিযুক্ত হাবিবুল্ল্যাহ ও আল-আমিন হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে তারা উল্টো আমাদের ফাঁসাতে এমন মিথ্যা ঘটনা ঘটিয়েছেন।

শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, স্থানীয়রা বিষয়টি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঢাকায় আছেন। তিনি ফিরলে ক্ষতিগ্রস্তদের কৃষি বিভাগের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

পরবর্তী সরকারে আমি থাকব না: প্রধান উপদেষ্টা

শত্রুতার বলি তরমুজ ক্ষেত

Update Time : ১২:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 

সাতক্ষীরায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক চাষির আনুমানিক ১২ হাজার তরমুজের চারা উপড়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে নিয়ে শুক্রবার (২৮ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী কৃষক শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালী ইউনিয়নের ওমর ফারুক ও মো. রাশিদুল ইসলাম প্রতি বছর কৈখালী বিলে অন্যের জমি নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও তারা ১০ বিঘা জমিতে ধান ও তরমুজ চাষ শুরু করেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার হাবিবুল্ল্যাহ, আল-আমিন হোসেন ও ফারুক হোসেন গভীর রাতে তরমুজ ক্ষেতে প্রবেশ করে আনুমানিক ১২ হাজার তরমুজের চারা উপড়ে ফেলে। এতে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, কৈখালীর তরমুজ দেশে বিখ্যাত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তরমুজ চাষ করে সংসার চালায়। যারা এমন ধরনের কাজে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।

অভিযুক্ত হাবিবুল্ল্যাহ ও আল-আমিন হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে তারা উল্টো আমাদের ফাঁসাতে এমন মিথ্যা ঘটনা ঘটিয়েছেন।

শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, স্থানীয়রা বিষয়টি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঢাকায় আছেন। তিনি ফিরলে ক্ষতিগ্রস্তদের কৃষি বিভাগের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ