ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের দাম বেড়েছে আবারও, কেজিতে ৮০ টাকা

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারি জেলা ঝিনাইদহে আবারো বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

রোববার শহরের হাটখোলা, শৈলকুপা উপজেলার ভাইট বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায় মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি পাইকারি প্রকার ভেদে ১’শ ২০ থেকে ১’শ ৪০ টাকা ও খুচরা ১’শ ৪০ থেকে দেড়’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে।

শহরের হাটখোলায় পেঁয়াজ কিনতে আসা আদর্শপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৭০ টাকা কেজি দরে। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে সেই একই পেঁয়াজ ১’শ ৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।

বশির উদ্দিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গত বুধবারের পর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এতে প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর।

এদিকে বিক্রেতারা বলছে বৈরী আবহাওয়া ও মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ প্রায় শেষ হওয়ার কারণে মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোহাগ কুন্ডু নামের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তারে ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, বৃষ্টির কারণে কৃষক মাঠ থেকে তুলছেন না। তাছাড়াও মুড়িকাটি জাতের পেয়াজ প্রায় শেষের পথে এ কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, এ বছর জেলার ৬ টি উপজেলায় ৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ ভাগ জমিতে চারা রোপন শেষ হয়েছে। বৃষ্টি কারণে বাকি অর্ধেক একটু নাবি হবে। এ পেঁয়াজ উঠতে আরও অন্তত আড়াই থেকে ৩ মাস সময় লাগবে। বর্তমানে মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। জেলায় ৯’শ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। যা বর্তমানে শেষের পথে। নতুন জাতের পেঁয়াজ না উঠলে বাজারদর একই থাকতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:১৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
৩৭১ Time View

পেঁয়াজের দাম বেড়েছে আবারও, কেজিতে ৮০ টাকা

আপডেট সময় : ০৫:১৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহঃ

দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারি জেলা ঝিনাইদহে আবারো বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

রোববার শহরের হাটখোলা, শৈলকুপা উপজেলার ভাইট বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায় মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি পাইকারি প্রকার ভেদে ১’শ ২০ থেকে ১’শ ৪০ টাকা ও খুচরা ১’শ ৪০ থেকে দেড়’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে।

শহরের হাটখোলায় পেঁয়াজ কিনতে আসা আদর্শপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৭০ টাকা কেজি দরে। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে সেই একই পেঁয়াজ ১’শ ৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।

বশির উদ্দিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গত বুধবারের পর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এতে প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর।

এদিকে বিক্রেতারা বলছে বৈরী আবহাওয়া ও মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ প্রায় শেষ হওয়ার কারণে মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোহাগ কুন্ডু নামের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তারে ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, বৃষ্টির কারণে কৃষক মাঠ থেকে তুলছেন না। তাছাড়াও মুড়িকাটি জাতের পেয়াজ প্রায় শেষের পথে এ কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, এ বছর জেলার ৬ টি উপজেলায় ৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ ভাগ জমিতে চারা রোপন শেষ হয়েছে। বৃষ্টি কারণে বাকি অর্ধেক একটু নাবি হবে। এ পেঁয়াজ উঠতে আরও অন্তত আড়াই থেকে ৩ মাস সময় লাগবে। বর্তমানে মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। জেলায় ৯’শ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটি জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। যা বর্তমানে শেষের পথে। নতুন জাতের পেঁয়াজ না উঠলে বাজারদর একই থাকতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি।