বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মিলনীতে তিনি বলেন, “উন্নয়নের টাকা যেন যথাযথভাবে ব্যবহার হয়, সেদিকে আপনাদের নজর রাখতে হবে।”
মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জনগণকে শান্তি ও স্বস্তি দেওয়ার কর্তব্যের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নয়নের ধরাবাহিকতা যেনো অব্যাহত থাকে।
“আপনাদের চাকরি তো পার্মানেন্ট। কিন্তু, আমাদের পাঁচ বছর পর পর জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।”
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদও জানান।
“আজ এই উন্নয়ন যে করতে পেরেছি, তার জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ঐক্য ও সহমর্মিতার সংগঠন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে এ সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
পাকিস্তান আমলে সামরিক-বেসামরিক বৈষম্যের চিত্রও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “নাগরিকদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য চালু করা হয়েছে ওয়েবভিত্তিক অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। দুর্নীতি প্রতিরোধে দপ্তরসমূহের দুর্নীতির ধূসর এলাকাসমূহ চিহ্নিত করে তা দুর্নীতি প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হচ্ছে।
“দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা) বিধিমালা ২০১৭ প্রণীত হয়েছে। সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তিতে যে কোন সমস্যা নিরসনে গণশুনানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এই সম্মিলনীতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এই সংগঠনের মহাসচিব পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার।
পরে প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখেন এবং নৈশভোজে অংশ নেন।