ঢাকাঃ

সকালের শুরুটা ছিল রোদমাখা। দিন যত গড়িয়েছে, মেঘমুক্ত আকাশ গলে আসা প্রখর রোদের ঝলকানি ততই বেড়েছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও রোদ আর গরমের তীব্রতা কমেনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দুই দিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকছে। আর আজ আগের কয়েক দিনের চেয়ে রাজধানীর সকালের তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি। স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। সাধারণত এপ্রিলের শুরুতে গ্রীষ্মের আবহাওয়া শুরু হলে এ তাপমাত্রা থাকে। কিন্তু বছরের এই সময়ে সেই তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, দিনের তাপমাত্রায় যাঁরা কষ্টে ছিলেন, তাঁদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির সংবাদ আছে। তা হচ্ছে, আজ সন্ধ্যার পর থেকে বসন্তের হালকা ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়া বেড়ে যাবে। এতে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার আগের মতো তীব্র রোদ ও গরম থাকতে পারে। আকাশে মেঘ জমে বৃষ্টি হওয়ার আগপর্যন্ত দিনে তীব্র গরম আর রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকতে পারে। আগামী দুই–তিন এ ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে।

জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, পুরো ফেব্রুয়ারি মাস স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টি কম হয়েছে। এই সময়ে যে পরিমাণে মেঘ–বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। ফলে রোদের তীব্রতা থাকছে ও থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রখর রোদ ও খরতাপের কারণে গতকাল দেশের কয়েকটি এলাকায় মৃদু দাবদাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল। কোনো একটি অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেখানে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। গত রবি ও সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজশাহীতেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সোমবার সকাল ছয়টায় রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ গত ৩০ বছরের গড় অনুযায়ী মার্চের এক তারিখে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকার কথা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here