ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচন্ড শীতের কারণে গর্তে থাকছে গাজাবাসী

সবুজদেশ ডেস্ক:

ছবি সংগৃহীত-

 

বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি তাইসির ওবাইদ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন এক শিবিরে। মাথার ওপরে সব সময় ইসরাইলি হামলার খড়গ তো ঝুলছেই তার ওপর এখন যোগ হয়েছে হিমশীতল তাপমাত্রা ও ভারি বৃষ্টিপাত। এরকম পরিস্থিতিতে সন্তানদের একটু স্বস্তি দিতে মাটিতে গর্ত খুড়ে বসবাস শুরু করেছেন ওবাইদ। 

কাদামাটিতে প্রায় ২ মিটার (৬.৫৬ ফুট) গভীর একটি বর্গাকার গর্ত খুঁড়েছেন তিনি। আর বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ওপর ঢেকে দিয়েছেন টারপলিন দিয়ে।

ওবাইদ বলেন, ‘আমি প্রথমে ৯০ সেন্টিমিটার খনন করেছিলাম; কিন্তু আমার মনে হয়েছে জায়গাটি একটু বড় হয়েছে।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওবাইদ সেখানে ১৮০ সেন্টিমিটার গভীর পর্যন্ত খনন করতে সক্ষম হন। পরে নিচে গদি বিছিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘এরপর আমার জায়গাটি কিছুটা আরামদায়ক মনে হয়েছিল।

গর্তের পাশে সিঁড়ি কেটে প্রবেশপথও তৈরি করেছেন। কাদামাটি যথেষ্ট নরম হওয়ায় কোনোরকম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ছাড়াই খনন করতে পেরেছেন তিনি।

গর্তটি ইসরাইলি বিমান হামলা থেকে কিছুটা ‘সুরক্ষা’ দেয়। তবে, ওবায়েদের শঙ্কা, যদি কোনও বোমা খুব কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয় তাহলে গর্ত ভেঙে পড়বে। তিনি বলেন, যদি আমাদের চারপাশে কোনও বিস্ফোরণ ঘটে এবং মাটি ধসে পড়ে, তবে এই আশ্রয়টি আমাদের সমাধিতে পরিণত হবে।

১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় গাজার প্রায় ২৪ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।  জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টার  ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজার ৬৬ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:১২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
১০ Time View

প্রচন্ড শীতের কারণে গর্তে থাকছে গাজাবাসী

আপডেট সময় : ০১:১২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

 

বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি তাইসির ওবাইদ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন এক শিবিরে। মাথার ওপরে সব সময় ইসরাইলি হামলার খড়গ তো ঝুলছেই তার ওপর এখন যোগ হয়েছে হিমশীতল তাপমাত্রা ও ভারি বৃষ্টিপাত। এরকম পরিস্থিতিতে সন্তানদের একটু স্বস্তি দিতে মাটিতে গর্ত খুড়ে বসবাস শুরু করেছেন ওবাইদ। 

কাদামাটিতে প্রায় ২ মিটার (৬.৫৬ ফুট) গভীর একটি বর্গাকার গর্ত খুঁড়েছেন তিনি। আর বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ওপর ঢেকে দিয়েছেন টারপলিন দিয়ে।

ওবাইদ বলেন, ‘আমি প্রথমে ৯০ সেন্টিমিটার খনন করেছিলাম; কিন্তু আমার মনে হয়েছে জায়গাটি একটু বড় হয়েছে।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওবাইদ সেখানে ১৮০ সেন্টিমিটার গভীর পর্যন্ত খনন করতে সক্ষম হন। পরে নিচে গদি বিছিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘এরপর আমার জায়গাটি কিছুটা আরামদায়ক মনে হয়েছিল।

গর্তের পাশে সিঁড়ি কেটে প্রবেশপথও তৈরি করেছেন। কাদামাটি যথেষ্ট নরম হওয়ায় কোনোরকম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ছাড়াই খনন করতে পেরেছেন তিনি।

গর্তটি ইসরাইলি বিমান হামলা থেকে কিছুটা ‘সুরক্ষা’ দেয়। তবে, ওবায়েদের শঙ্কা, যদি কোনও বোমা খুব কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয় তাহলে গর্ত ভেঙে পড়বে। তিনি বলেন, যদি আমাদের চারপাশে কোনও বিস্ফোরণ ঘটে এবং মাটি ধসে পড়ে, তবে এই আশ্রয়টি আমাদের সমাধিতে পরিণত হবে।

১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় গাজার প্রায় ২৪ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।  জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টার  ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজার ৬৬ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ