প্রত্যাবাসন পেছাতে নতুন অজুহাত মিয়ানমারের
‘সম্মত আবেদনপত্রে’র অজুহাত তুলে এবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করতে চাইছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর মিয়ানমার সফরে এ বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার মিয়ানমার পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের পরিবারভিত্তিক আবেদনপত্রের ছক পূরণ করে তা যাচাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে পাঠানো হচ্ছে। ওই আবেদনপত্রে রোহিঙ্গাদের সই ও আঙুলের ছাপ সামনে নিয়ে আসছে মিয়ানমার। মিয়ানমার আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারণা চালিয়ে বলছে, বাংলাদেশ সম্মত আবেদনপত্র অর্থাৎ সই ও আঙুলের ছাপ যুক্ত করে রোহিঙ্গার তালিকা পাঠাচ্ছে না।
প্রত্যাবাসনের সঙ্গে যুক্ত জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সাবেক কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আদি নিবাসে ফেরার মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে শরণার্থীদের নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি। এটি না জেনে কারও পক্ষে এটা অঙ্গীকার করার সুযোগ নেই যে, তিনি ফিরতে চান। কাজেই অঙ্গীকারের বিষয়ে সই ও আঙুলের ছাপ নেওয়াটা এখনই যৌক্তিক নয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মিয়ানমারের কাছে ১ হাজার ৬৭৩ পরিবারের ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু আবেদনপত্র অর্থাৎ তালিকা পাঠানো লোকজনের সই ও আঙুলের ছাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এরপর মিয়ানমারের কাছে আর কোনো তালিকা দেয়নি বাংলাদেশ।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ দেখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল মিয়ানমারে পৌঁছেছে। তিনি আজ শুক্রবার মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে, স্টেট কাউন্সিলরের দপ্তরের মন্ত্রী চ টিন্ট সোয়ে ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ের সঙ্গে নেপিডোতে বৈঠক করবেন।