ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম রোজার সেহরি ঠিক মতো খেতে পারেননি গাজাবাসী

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে।

 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গতকাল শুক্রবার শুরু হয় পবিত্র রমজান মাস। এদিন রাতে প্রথম সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নেন তারা। তবে ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে ঠিকমতো সেহরি খেতে পারেননি গাজাবাসী।

বার্তাসংস্থা আনাদোলো শনিবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রমজানের প্রথম রাতটি ছিল দুর্ভোগপূর্ণ। যখন সাধারণ মানুষ সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি। এতে তাদের অস্থায়ী তাঁবুতে পানি জমে যায়, ভিজে যায় ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে তাঁবু থেকে বের হলেও, অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়ার মতো জায়গা ছিল না এসব মানুষের। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের কষ্ট ছিল সীমাহীন।

যারা বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরে গেছেন তারাও পড়েছেন দুর্ভোগে। ভাঙা দেওয়াল ও ছাদের মধ্যে দিয়ে বৃষ্টির পানি আসায় তাদের রাতটি বেশ খারাপ যায়।

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে গত ১৯ জানুয়ারি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় কয়েক হাজার অস্থায়ী বাড়ি প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরায়েল এই কথা রাখেনি। ফলে সাধারণ মানুষকে এখনো অস্থায়ী তাঁবুতে থাকতে হচ্ছে। যেগুলো একটু বৃষ্টি এলেই তলিয়ে গিয়ে তৈরি করছে দুর্ভোগ।

ওই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ হয়। তবে সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা এখনো কাটেনি। তা সত্ত্বেও নিজেদের যতটুকু সামর্থ আছে, সেটি দিয়েই পবিত্র এ মাসকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নেন তারা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এখন সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এছাড়া ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজাবাসী সব খাবারও ঠিকমতো পান না।

সূত্র: আনাদোলো

জনপ্রিয়

ডিসি এসপি ইউএনওদের পদায়ন নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

প্রথম রোজার সেহরি ঠিক মতো খেতে পারেননি গাজাবাসী

Update Time : ০৮:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গতকাল শুক্রবার শুরু হয় পবিত্র রমজান মাস। এদিন রাতে প্রথম সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নেন তারা। তবে ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে ঠিকমতো সেহরি খেতে পারেননি গাজাবাসী।

বার্তাসংস্থা আনাদোলো শনিবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রমজানের প্রথম রাতটি ছিল দুর্ভোগপূর্ণ। যখন সাধারণ মানুষ সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি। এতে তাদের অস্থায়ী তাঁবুতে পানি জমে যায়, ভিজে যায় ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে তাঁবু থেকে বের হলেও, অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়ার মতো জায়গা ছিল না এসব মানুষের। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের কষ্ট ছিল সীমাহীন।

যারা বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরে গেছেন তারাও পড়েছেন দুর্ভোগে। ভাঙা দেওয়াল ও ছাদের মধ্যে দিয়ে বৃষ্টির পানি আসায় তাদের রাতটি বেশ খারাপ যায়।

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে গত ১৯ জানুয়ারি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় কয়েক হাজার অস্থায়ী বাড়ি প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরায়েল এই কথা রাখেনি। ফলে সাধারণ মানুষকে এখনো অস্থায়ী তাঁবুতে থাকতে হচ্ছে। যেগুলো একটু বৃষ্টি এলেই তলিয়ে গিয়ে তৈরি করছে দুর্ভোগ।

ওই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ হয়। তবে সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা এখনো কাটেনি। তা সত্ত্বেও নিজেদের যতটুকু সামর্থ আছে, সেটি দিয়েই পবিত্র এ মাসকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নেন তারা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এখন সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এছাড়া ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজাবাসী সব খাবারও ঠিকমতো পান না।

সূত্র: আনাদোলো