ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথম সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন ইব্রাহিম রাইসি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • ১৭৬ Time View

ছবি: ইরনা

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি প্রথম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।  

রাইসি বলেন, করোনা মহামারির ভেতর শত্রুদের বিচিত্র শত্রুতা, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অনুযোগ ইত্যাদি প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নির্বাচনে জনগণের ওই আন্তরিক উপস্থিতি যথেষ্ট অর্থবহ। এই উপস্থিতি ইরানের জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতির বার্তা বহন করছে।

রাইসি আরও বলেন, জনগণ সর্বোচ্চ নেতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচনে তাদের উপস্থিতির সাক্ষর রেখেছে। ত্রয়োদশ সরকারের উচিত দেশ ও জাতির দেওয়া ওই বার্তা গভীর মনোযোগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে শোনা। জনগণকে আমরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে বিশ্বস্ত থাকতে হবে। 

সব শক্তি ও আন্তরিকতা দিয়ে জনগণের সেবা করা এবং তাদের সমস্যাগুলো দূর করার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন করার ওপর জোর দেন ইরানের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। 

বৈষম্য, দারিদ্র্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করাসহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইসলামী বিপ্লবের গৌরবময় মূল্যবোধের ভিত্তিতে মরহুম ইমাম ও শহীদদের পথ বিশেষ করে প্রিয় শহীদ ও জনগণের হৃদয়ের নেতা কাসেম সোলাইমানির আদর্শ অনুসরনের মাধ্যমে ওই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ইরানের মাশহাদে ১৯৬০ সালে। রাইসির বাবা ছিলেন একজন ধর্মীয় নেতা। পাঁচ বছর বয়সে রাইসির বাবা মারা যান। এর পর ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের চার বছর আগে ১৫ বছর বয়সি রাইসি তার নিজের শহর মাশহাদ ছেড়ে কুমে যান।

১৯৮১ সালে রাইসি তেহরানের নিকটবর্তী ইরানের শহর কারাজের বিচার বিভাগে যোগ দেন। ১০ বছরেরও কম সময়ে তিনি বিচার বিভাগে উল্লেখযোগ্য পদোন্নতি পান। এরপর কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে একটি ট্রাইবুন্যালের সদস্য হন যাকে বিরোধীরা ‘ঘাতক কমিটি’ হিসেবে অভিহিত করে।

১৯৮৮ সালে এই কমিটি দুই থেকে চার হাজারের মতো রাজনৈতিক বন্দিকে ফাঁসির আদেশ দেয়। এদের মধ্যে মার্কসবাদী, বামপন্থি রাজনীতিবিদ এবং পিপলস মুজাহিদিন অরগানাইজেশন অব ইরানের (এমইকে) বহু সদস্য ছিলেন। এ সংগঠনকে ইরান ও ইরাক উভয়েই সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দেখে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :