সবুজদেশ ডেক্সঃ ওমান প্রবাসী মাসুক মিয়া। সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার উত্তর কৌলা গ্রামের বাসিন্দা। গত দুই মাস আগে দেশে ছুটিতে আসেন ওমান থেকে দুবাই হয়ে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে নিজ শহর মৌলভীবাজার আসেন। পাসপোর্টে ওমান বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও দুবাই বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সীল থাকলেও কিন্তু বাংলাদেশ বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের সীল নাই ।
দীর্ঘ দুমাস দেশে ছুটি কাটিয়ে আবার রিটার্ন উমানের উদ্দ্যেশে যাত্রার সময় বাংলাদেশ ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসলে বাংলাদেশ বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ পাসপোর্ট দেখে গত দুমাস আগে মাসুক মিয়া ছুটিতে আসার সময় বাংলাদেশে প্রবেশের ইমিগ্রেশন সীল না থাকায় মাসুক মিয়াকে ওমান যাত্রার বিমানের বোর্ডিং পার্স দেওয়া হয়নি এবং মাসুক মিয়ার উমান যাত্রার ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। মাসুক মিয়া নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে অনেক এদিক সেদিক ছুটা ছুটি করেন ।
বিমানবন্দরের পুলিশ বা কোনো কর্মকর্তা মাসুক মিয়াকে কোন সহযোগিতা করেননি। মাসুক মিয়ার ওমান যাত্রার ফ্লাইট বাতিল হওয়াতে গুনতে হলো পরবর্তী ফ্লাইটের ওমান যাত্রার বিমানের নতুন টিকেটের টাকা। তার পরেও সন্দেহ হয় মাসুক মিয়া কি আবার পাসপোর্ট এর সীল না থাকার কারনে এই ফ্লাইটও বাতিল হবে। যদি এই ফ্লাইট বাতিল হয় তাহলে মাসুক মিয়া হয়তো আর উমান যাওয়া না হতে পারে, নষ্ট হয়ে যাবে ওমানের ভিসা ।

এর মধ্যে ওমান প্রবাসী মাসুক মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সৌদি আরব প্রবাসী এক সাংবাদিকের কাছে ফোন করেন এবং মাসুক মিয়ার সমস্যার কথা বলেন। প্রবাসী সাংবাদিকের পরিচিত একজন বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজ মনিরুজ্জামানের কাছে ফোন করেন এবং বিষয়টা খুলে বলেন। সাথে সাথে অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি মনিরুজ্জামান তিনি বিষয়টি সু-নজরে দেখে অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের সহযোগিতায় ঐ যাত্রী ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ যাচাই বাছাই করে তার ওমান যাওয়ার ব্যবস্হা করেন ।

অবশেষে মাসুক মিয়া অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজ মনিরুজ্জামানের সহযোগিতায় ওমানে যেতে পেরেছেন এবং তার ভিসা রক্ষা হয় । মাসুক মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি মনিরুজ্জামানকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন এই রকম পুলিশ অফিসার অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি বাংলাদেশে থাকলে শুধু প্রবাসী নয় দেশের মানুষও পুলিশের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবে। পরিশেষে মাসুক মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি মনিরুজ্জামানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি মনিরুজ্জামানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজ মনিরুজ্জামান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ওমান প্রবাসীর জন্য যা করলেন তা আজ সকল পুলিশ সদস্যদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। আমরা আশা করব বিমান বন্দরের সকল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অতি সাবধানতার সহিত দায়িত্ব পালন করবেন যাতে একজন প্রবাসী ও আর কোন সমস্যার সম্মুখীন না হন।(লেখা সংগ্রহীত)

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here