ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে সংগীত-নৃত্যের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল চান জামায়াত সেক্রেটারি

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে।

 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৃত্য ও সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

গতকাল রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কোনো বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই। ফলে সমৃদ্ধ সিলেবাস থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দেশে সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সংগীত বা নৃত্য শিক্ষার্থীদের আবশ্যিক কোনো বিষয় হতে পারে না। বরং কোনো পরিবারের যদি একান্তই গান বা নৃত্যের প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে তারা ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক রেখেও বিষয়টি শেখাতে পারে।’

প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য সংগীত ও নৃত্যের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে ‘জাতির জন্য আত্মঘাতী’ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, ‘কোমলমতি প্রজন্মকে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার মূলত শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে অবক্ষয় ও অনৈতিক সমাজ গঠনে উৎসাহিত করছে।’

এর আগে গত শুক্রবার আরেক বিবৃতিতে প্রাথমিকে সংগীতের মতো বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

ছাত্রীদের নিপীড়নের অভিযোগ, গণধোলাইয়ে প্রধান শিক্ষকের স্কুলত্যাগ

প্রাথমিকে সংগীত-নৃত্যের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল চান জামায়াত সেক্রেটারি

Update Time : ০৮:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৃত্য ও সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

গতকাল রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কোনো বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই। ফলে সমৃদ্ধ সিলেবাস থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দেশে সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সংগীত বা নৃত্য শিক্ষার্থীদের আবশ্যিক কোনো বিষয় হতে পারে না। বরং কোনো পরিবারের যদি একান্তই গান বা নৃত্যের প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে তারা ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক রেখেও বিষয়টি শেখাতে পারে।’

প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য সংগীত ও নৃত্যের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে ‘জাতির জন্য আত্মঘাতী’ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, ‘কোমলমতি প্রজন্মকে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার মূলত শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে অবক্ষয় ও অনৈতিক সমাজ গঠনে উৎসাহিত করছে।’

এর আগে গত শুক্রবার আরেক বিবৃতিতে প্রাথমিকে সংগীতের মতো বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম।

সবুজদেশ/এসএএস