ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি প্রেমিকের

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ রাজবাড়ী জেলায় ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ  ঘটনায় রাজবাড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় রাজবাড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুর রহমান সেখের ছেলে ইমরান সেখ (২২) ও তার বড় ভাই ইবাদুল সেখকে (২৫) আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার শিকার ওই ছাত্রীর মা জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইমরান সেখ। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে তার মেয়েকে ইমরান তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষণ দৃশ্য ইমরান তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে মেয়েটি ঘটনাটি তার মাকে জানায়। তিনি ঘটনাটি ইমরানের পরিবারকে জানান। তারা ইমরানের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ইমরান মাঝে মধ্যেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে থাকে। এরই মধ্যে ইমরান মালয়েশিয়া চলে যায়। পরে ইমরান তার বড় ভাই ইবাদুলের কাছে ওই ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়ে দেয়। ইবাদুল সেই ভিডিও ক্লিপ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে।

ইমরান মালয়েশিয়া থেকে এলাকার বখাটেদের কাছেও ওই ভিডিও ক্লিপ পাঠায়। গত ৩০ আগস্ট ওই মেয়ে ও তার মা ইমরানদের বাড়িতে গেলে তাদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা  করেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:১৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৯০৭ Time View

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি প্রেমিকের

আপডেট সময় : ০২:১৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ রাজবাড়ী জেলায় ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ  ঘটনায় রাজবাড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় রাজবাড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুর রহমান সেখের ছেলে ইমরান সেখ (২২) ও তার বড় ভাই ইবাদুল সেখকে (২৫) আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার শিকার ওই ছাত্রীর মা জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইমরান সেখ। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে তার মেয়েকে ইমরান তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষণ দৃশ্য ইমরান তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে মেয়েটি ঘটনাটি তার মাকে জানায়। তিনি ঘটনাটি ইমরানের পরিবারকে জানান। তারা ইমরানের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ইমরান মাঝে মধ্যেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে থাকে। এরই মধ্যে ইমরান মালয়েশিয়া চলে যায়। পরে ইমরান তার বড় ভাই ইবাদুলের কাছে ওই ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়ে দেয়। ইবাদুল সেই ভিডিও ক্লিপ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে।

ইমরান মালয়েশিয়া থেকে এলাকার বখাটেদের কাছেও ওই ভিডিও ক্লিপ পাঠায়। গত ৩০ আগস্ট ওই মেয়ে ও তার মা ইমরানদের বাড়িতে গেলে তাদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা  করেন।