ঢাকাঃ

দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর ধরা পড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেছেন, এই খুনির ফাঁসির রায় অবশ্যই কার্যকর করা হবে। তবে তার আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল তার আরও তথ্য জানা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিরা কোথায় পালিয়ে আছে সেটাও।

বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম এ দাবি করেন।

ভিডিও বার্তায় নাসিম বলেন, করোনাভাইরাসের মহাবিপর্যয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদের গ্রেফতার দেশবাসীর জন্য একটি সুসংবাদ বয়ে এনেছে। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে দীর্ঘ এক যুগ পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুনিকে গ্রেফতার করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি এই খনি শুধু জাতির জনককে হত্যা করেননি এই খুনি জেলখানায় ঢুকে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল।

মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলে তিনি বলেন, এই খুনিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করবো তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কারণ এই খুনি বলতে পারবে সেদিন জেলখানায় হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছিল, কারা দিয়েছিলো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু উম্মোচন হবে, যারা বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় চার নেতাকে নৃশংস হত্যায় অংশ নিয়েছিল তাদের ব্যাপারে।

নাসিম বলেন, মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে খুনের নেপথ্য খলনায়কদের বের করা দরকার। না হলে অনেক কিছু অজানা হয়ে আছে, অজানা হয়ে থাকবে। খুনিরা কোথায় পলাতক আছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে তাও জানা যেতে পারে। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। তবে অবশ্যই তার আগে যেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন। সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here