ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে থাকছে না আর ফ্যাক্ট চেকার
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আর থাকছে না ফ্যাক্ট চেকার। সামাজিক মাধ্যমগুলোর মাদার কোম্পানি মেটা এ ঘোষণা দিয়েছে। তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের যে কাজটি ফ্যাক্ট চেকাররা করত, সেটি এখন ব্যবহারকারীরা ‘কমিউনিটি নোটের’ মাধ্যমে করবেন। যা অনেকটা ইলন মাস্কের এক্সের মতো।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার আগ মুহূর্তে এমন পরিবর্তন আনল মেটা। এই ফ্যাক্ট চেক নিয়ে ট্রাম্প এবং তার দল রিপাবলিকান পার্টির তোপের মুখে ছিলেন মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ। তাদের অভিযোগ ছিল ফ্যাক্ট চেকের মাধ্যমে ডানপন্থিদের মতামতকে সেন্সর করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় জাকারবার্গ বলেন, “ফ্যাক্ট চেকাররা রাজনৈতিকভাবে খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। তারা আস্থা অর্জনের চেয়ে আস্থা বেশি নষ্ট করেছে। যে উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছিল, তা না করে মুক্ত মতামতকে এবং মানুষের ধারণাকে বন্ধ করেছে তারা।
তবে জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন ফ্যাক্ট চেকার না থাকায় এখন থেকে তাদের প্লাটফর্মগুলোয় ক্ষতিকর কনটেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছে মেটা। মাত্র একদিন আগে ট্রাম্পের সহযোগী ডানা হোয়াইট মেটার বোর্ডে যোগ দেবেন। এছাড়া ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সংস্থাটি।
২০১৬ সালে মেটা প্রথম ফ্যাক্ট চেকার পোগ্রাম চালু করে। ওই সময় অভিযোগ ওঠে বিদেশিরা তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে এবং মার্কিনিদের মধ্যে অনৈক্য তৈরি করছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ২০২২ সালে টুইটার কিনে নেন। এরপর এটির নাম দেন এক্স। তিনি টুইটার কিনে নিয়েই এটি থেকে ফ্যাক্ট চেকার দলকে বাদ দেন।
এছাড়া ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পলিসি ভঙ্গন শনাক্তে যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি আছে সেটিতেও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে মেটা। তারা বলছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে অনেক বেশি কনটেন্ট মুছে ফেলা হয়েছে। যেটি করা ঠিক হয়নি। এখন থেকে শুধুমাত্র অবৈধ ও বড় পলিসি ভঙ্গন, যেমন— সন্ত্রাসবাদ, শিশুদের যৌন হেনস্তা, মাদক, প্রতারক এবং প্রতারণার বিষয়গুলোর ওপর নজর দেবে তারা। অন্যান্য বিষয়গুলোর ব্যাপারে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মেটাকে অবহিত করতে হবে। এরপর তারা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে।
সূত্র: সিএনএন