ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বনভোজনে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল মোচিকের কর্মচারী কবির

Reporter Name

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সহকর্মীদের সাথে বার্ষিক বনভোজনে গিয়েছিল কবির। বাসে উঠে কিছুক্ষণ পরেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। বনভোজনের বাস গন্তব্যে পৌঁছালে তার সহকর্মীরা ঘুম থেকে ডাকেন কবিরকে। কিন্তু কবির যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মহাকালের পথে পাড়ি দিয়েছেন। এই ঘুম যে আর কখনো ভাঙবে না।

এমনই এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের গ্যারেজ সেকশনের বার্ষিক বনভোজনে। মৃত কবির হোসেন উপজেলার বাবরা গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি মোবরকগঞ্জ চিনিকলের ট্রাক্টরের হেলপার পদে কর্মরত ছিলেন।

বাসে থাকা শহিদুল ইসলাম নামে কবিরের এক সহকর্মী জানান, রাত দুইটায় বনভোজনের বাসটি সুগার মিল থেকে ছেড়ে যায়। গাড়ির মধ্যে কবির বেশ উৎফুল্ল ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই একটি সিটে হেলান দিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর বাঘা লালপুর এলাকায় কিছুক্ষণ দাঁড়ায় বাসটি। এসময় তিনি কবিরের শরীরে হাত দিয়ে দেখতে পান, পুরো শরীর ঠান্ডা ও মুখ দিয়ে লালা বের হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহী সিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর এ্যাম্বুলেন্সে করে কবিরের মরদেহ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।    

গত তিন বছর আগে বাবাকে হারায় কবির। এর পরের বছর গাছ থেকে পড়ে তার ছোট ভাইটি মারা যায়। এবার মাকে রেখে তিনিও পাড়ি জমালেন অন্ততকালের পথে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০
৯৭৫ Time View

বনভোজনে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল মোচিকের কর্মচারী কবির

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সহকর্মীদের সাথে বার্ষিক বনভোজনে গিয়েছিল কবির। বাসে উঠে কিছুক্ষণ পরেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। বনভোজনের বাস গন্তব্যে পৌঁছালে তার সহকর্মীরা ঘুম থেকে ডাকেন কবিরকে। কিন্তু কবির যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মহাকালের পথে পাড়ি দিয়েছেন। এই ঘুম যে আর কখনো ভাঙবে না।

এমনই এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের গ্যারেজ সেকশনের বার্ষিক বনভোজনে। মৃত কবির হোসেন উপজেলার বাবরা গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি মোবরকগঞ্জ চিনিকলের ট্রাক্টরের হেলপার পদে কর্মরত ছিলেন।

বাসে থাকা শহিদুল ইসলাম নামে কবিরের এক সহকর্মী জানান, রাত দুইটায় বনভোজনের বাসটি সুগার মিল থেকে ছেড়ে যায়। গাড়ির মধ্যে কবির বেশ উৎফুল্ল ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই একটি সিটে হেলান দিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর বাঘা লালপুর এলাকায় কিছুক্ষণ দাঁড়ায় বাসটি। এসময় তিনি কবিরের শরীরে হাত দিয়ে দেখতে পান, পুরো শরীর ঠান্ডা ও মুখ দিয়ে লালা বের হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহী সিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর এ্যাম্বুলেন্সে করে কবিরের মরদেহ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।    

গত তিন বছর আগে বাবাকে হারায় কবির। এর পরের বছর গাছ থেকে পড়ে তার ছোট ভাইটি মারা যায়। এবার মাকে রেখে তিনিও পাড়ি জমালেন অন্ততকালের পথে।