বনানীতে অপ্রতিরোধ্য মাদক ব্যবসায়ীরা
সবুজদেশ ডেক্সঃ মহাখালী হাজাড়িবাড়ি মুন ভিডিওর পেছনের গলিতে আব্দুল আলীর ছেলে শরিফ ওরফে পাগলা শরিফের মাদক স্পট। একাধিক মামলার আসামী শরিফের সাথে বনানী থানার এসআই আবু তাহের ভুঁইয়ার বড় ভাই ছোট ভাই সম্পর্ক। ১২ জুন শরিফকে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। ঈদের আগে জামিনে বেরহয়ে বর্তমানে আবার ইয়াবা-গাঁজা বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে। সারাদিন তার কাছ থেকে মাদক কিনতে আসা মাদক সেবকদের আনাগোনায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। মাদক ব্যবসায়ী শরিফ এলাকায় বলে বেড়ায়, মাসে ৩০ হাজার টাকায় এসআই তাহেরকে ম্যানেজ করে ফেলেছেন। এছাড়া বনানী থানার পুলিশ সোর্স শহীদ তার স্পট থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা আদায় করেন বলে জানা গেছে। তাই বনানী থানার কোন পুলিশ শরিফের মাদকের স্পটে অভিযান পরিচালনা করেন না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শরিফ এই পর্যন্ত মাদক মামলায় তিনবার গ্রেফতার হয়। তিনবারই মামলা হয় বনানী থানায় কিন্তু বনানী থানার পুলিশ তাকে একবারও গ্রেফতার করেনি করেছে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।
ওয়ারলেস গেইট টিএন্ডটি পূর্ব কোলোনির বিটিসিএলের পানির পাম্পে আব্দুর রহমান মাসুম ওরফে মোল্লা মাসুমের ইয়াবা স্পট। মোল্লা মাসুম অএ এলাকায় ইয়াবার বড় ডিলার হিসাবে চিন্হিত। তার সহযোগী বনানী থানা পুলিশ সোর্স নোয়াখালীর শহীদ। তারা অবৈধ অস্রধারী সন্ত্রাসী। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৮ এপ্রিল ২০১৬ সালে দুটি পিস্তল ৬ রাউন্ড গুলিসহ র্যাব-১ মোল্লা মাসুমকে গ্রেফতার করেছিল। পরে মামলা দিয়ে তেজগাঁও শিল্পান্চল থানায় হস্তান্তর করে। এমামলায় চার মাস পরেই হাইকোর্টের দেয়া জামিনে বেরিয়ে যায় মোল্লা মাসুম।
জানা যায়, তার সহযোগী সোর্স শহীদকেও ২০০৫ সালে পিস্তল ও বিস্ফোরকসহ বনানী ২নং রোডের হিন্দুপাড়া বস্তি থেকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব-১। মাসুম ও শহীদ তারা বনানী, কড়াইল বস্তি, মহাখালী, বাড্ডা, গুলশান ও বারিধারা এলাকায় খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের ইয়াবা ও ফেন্সিডিল দেয়। বেশ কয়েকজন পুলিশও রয়েছেন তাদের সিন্ডিকেটে। তাই তাদের সিন্ডিকেট খুব শক্তিশালী। তাদের নিয়ন্ত্রনে ফেন্সিডিল ও ইয়াবার ব্যবসা করে- ওয়ারলেস গেট এলাকায়-, মামুন, নিরব, ড্রাইভার কাশেম, মফিজ, মোতালেব, ইয়াসিন, মহাখালী বন ভবনের পেছনে করিমসহ অনেকে।
একই সিন্ডিকেটের আরেক মাদক ব্যবসায়ী মালেক ওরফে জামাই মালেক। শুধু বনানী থানায় তার নামে মাদক মামলা রয়েছে ৫-৬টি। মহাখালী, ওয়ারলেছ গেট, বনানী, বাড্ডা এলাকায় পাইকারী ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করে মালেক।
এছাড়াও টিএন্ডটি বালিকা স্কুল রোডে মহান স্টুডিও সংলগ্ন নিজ বাড়িতে বসে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা করেন বনানী থানা সেচ্ছাসেবক দল নেতা এবং কড়াইল বস্তির চিন্হিত চাঁদাবাজ সায়েম। খুব কৌশলে মাদক ব্যবসা করেন তিনি। পরিস্থিতি খারাপ থাকলে গা-ঢাকা দেন আবার স্বাভাবিক হলে ফিরে আসেন। সম্প্রতি একাধিক পএিকায় তার নাম উঠে আসায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি ঈদের আগে আবার ফিরে এসে মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়েছেন বলে জানা যায়।
মহাখালী টিবিগেট এলাকায় ভয়ংকর ইয়াবা ব্যবসায়ী রকি। জানা যায়, তিনি বনানী থানা পুলিশের সোর্স হওয়ায় অতি দাপটের সাথে ইয়াবা ব্যবসা করছেন। সোর্সের খাতায় নিজের নাম টিকিয়ে রাখতে প্রতিদিন পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিরীহ মানুষকে দেখিয়ে দিয়ে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে রকি তল্লাশি করার সময় নিরীহ মানুষের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, রকি উওর বাড্ডার গোপিবাগ এলাকায় থাকেন। তার নামে বাড্ডা থানায় ২টি মাদক মামলা ও মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার অভিযোগে ১টি মামলা রয়েছে। জানা যায়, রকি বনানী থানার এসআই আব্দুল হক ও এসআই শরিফুলের সোর্স হিসেবে কাজ করে।
মহাখালী পশু গবেষণা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন মাদকের অন্যতম বড় নাটা ইউসুফের মাদকের স্পটে প্রকাশ্যে ইয়াবা, গাঁজা ফেন্সিডিল বিক্রি করা হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ইউসুফ মহাখালী এলাকার চিন্হিত সন্ত্রাসী। তিনি ডিবির সোর্স হিসেবেও পরিচিত। তার নামে গুলশানসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গত মে মাসের শেষে ৬০পিছ ইয়াবাসহ বাড্ডা থানায় গ্রেফতার হয় বনানী থানা পুলিশের সোর্স ও মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকার ইয়াবার ব্যবসায়ী মানিক ওরফে তৃপ্তি হোটেল মানিক। বর্তমানে তিনি জামিনে বের হয়ে ইয়াবা ব্যবসায় আবার সক্রিয়। জানা যায়, মানিক পাঠাও চালকের ছদ্দবেশে ইয়াবা ব্যবসা করে।
( প্রেরকের নাম ও ঠিকানা গোপন রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে)