হাসিনুর রহমান সেনাবাহিনীকে চাকরির সময় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় দণ্ডিত হয়ে পাঁচ বছরের জেল খেটে ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন।
হাসিনুর এক সময় র্যাব-৫ ও র্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। তিনি বিজিবিতেও ছিলেন কিছু কাল।
বুধবার রাত ১০টার দিকে পল্লবীতে মিরপুর ডিওএইচএসের বাসার সামনে থেকে হাসিনুরকে তুলে নেওয়া হয় বলে তার শ্যালক ওয়াকিল আহমেদ জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। বাসার নিচে ডিবি পুলিশের জ্যাকেট পরা কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়।”
তাকে হাসিনুরকে তুলে নিয়েছে, এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও ওয়াকিলের ধারণা, গোয়েন্দা পুলিশই তাকে নিয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মইনুল কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসিনুর রহমানকে তুলে নেওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন।”
চাকরি জীবনে হাসিনুর সর্বশেষ আর্মি টেইনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে কর্মরত ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর চাকরি হারিয়েছিলেন তিনি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে দেশেকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে সরকার দাবি করার পর দুদিন আগে আলোকচিত্রী শহিদুল ইসলামকেও এভাবে তুলে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেয় ডিবি।