গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বরিশাল নগরীতে ফের বৃষ্টি নামলেও তা আটকাতে পারেনি নির্বাচনী প্রচার।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বিএনপির ধানের শীষ প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান সরওয়ার ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি। পাশাপাশি পথসভা ও উঠান বৈঠকেও অংশ নিচ্ছেন তারা।
পুরো নগরী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। পথে পথে ঝুলছে মেয়র প্রার্থী, কাউন্সির প্রার্থীদের পোস্টার। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের প্রচারণায় দেখা গেছে। আলাদাভাবে মাইকিং করে ধানের শীষ ও নৌকার পক্ষে ভোট যাওয়া হচ্ছে।
৩০ জুলাইয়ের এ ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি নেতারা।
এ অভিযোগ প্রত্যাখান করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর একটি নির্বাচনের সব পরিবেশ বজায় রয়েছে বরিশালে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
“আমাদের প্রার্থীর প্রচারণার কাজ করছে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। তাকে অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে কাজ করতে হচ্ছে।”
নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘অত্যাচারিত’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “যদি আমাদের কর্মীদের ওপর এভাবে অত্যাচার করা হয়, এটা কখনই আন-চ্যালেঞ্জড যাবে না।”বরিশাল নগর বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনও দুই দিন সময় আছে, আমরা গণসংযোগ ও কর্মী সভা করছি। আজ ভোরে ২৮ নাম্বার ওয়ার্ডের একটি ফ্যাক্টরিতে গণসংযোগ করেছি, একই ওয়ার্ডে একটি কর্মী সভাও হয়েছে। বিকালে ৩০ নাম্বার ওয়ার্ডে পথসভা করা হবে।”
কী বাধা পাচ্ছেন- জানতে চাইলে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারের অন্যতম সমন্বয়কারী তারিন বলেন, “পুলিশের বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। এটা-সেটা করতে পারবেন না, আটটার আগে শেষ করতে হবে বলে। আর সরকারি দলের গাড়িতে স্টিকার দেখলে ছেড়ে দেয়, কিন্তু আমাদের সাধারণ পথচারী দেখলেও জরিমানা করা হচ্ছে। আমাদের পার্টির অফিসের সামনে আমাদের মোটরসাইকেল ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।”
অন্যদিকে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়কারী ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বরিশালের মানুষ একটা উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছে। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয় করার মতো সব ধরনের পরিবেশ বজায় রয়েছে।”
বিএনপির অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “বিএনপি সময় সময় অসত্য ও ভুলের উপর রাজনীতি করে। তাদেরকে আমাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের হয়রানি বা বাধা দেওয়া হচ্ছে না। এ ধরণের অভিযোগ মিথ্যা ও ভ্রান্ত।”
দুলাল বলেন, “বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখার জন্য কিছু কমন অভিযোগ করে থাকে, আসলে এসবের কোনো ভিত্তি নেই।”