রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় রূপবিশেষজ্ঞ মৌনা লাল’য়ের দেওয়া ত্বক উজ্জ্বল রাখার কয়েকটি কৌশল এখানে দেওয়া হল।
* রোদে বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই কমপক্ষে এসপিএফ ২০ সমৃদ্ধ সানব্লক ব্যবহার করতে হবে। আর প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর লাগাতে হবে। এটা ত্বকের উপর একটা প্রলেপ সৃষ্টি করে যা ত্বককে ময়লা ও বাতাস থেকে রক্ষা করে।
* ত্বকের ধরণ বুঝে দিনে কমপক্ষে তিনবার ভালো ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এতে লোমকূপে ময়লা জমে তা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। ফলে ‘ব্ল্যাক হেডস’ এবং ‘হোয়াইট হেডস’ ব্রণের সমস্যা দূরে হবে।
* ত্বক আর্দ্র রাখতে দিনে কমপক্ষে দুতিন লিটার পানি পান করুন। অথবা চিনি ছাড়া পানীয় যেমন- লেবুর শরবত, লেমনেইড, ডাবের পানি খেতে পারেন। এগুলোর ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে এবং ডাবের পানির খনিজ উপাদান ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে। যতটা সম্ভব তৈলাক্ত ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।
* কেউ চাইলে ঘরে ফেইসস্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। বেসন, দানাদার চিনি, দই, কমলার শুকনা খোসা মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে মুখে লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সামান্য পানি ব্যবহার করে মুখ ভিজিয়ে নিন। তারপর আলতোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে মুখ স্ক্রাব করে নিন। প্রয়োজন হলে আরও পানি ব্যবহার করতে পারেন।
* সবশেষে মুলতানি মাটি, চন্দন বা কাওলিন পাউডারের (বাজারে পাওয়া যায়) সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এটা লোমকূপ টানটান করতে এবং মুখে তারুণ্য ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
* ত্বক ভালো রাখতে অবশ্যই ‘ক্লিঞ্জিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং’য়ের কথা সবসময় মনে রাখতে হবে। এগুলো ত্বক ভালো রাখার প্রাথমিক শর্ত। ত্বকে অবশ্যই নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। মুখের নির্দিষ্ট কোনো অংশ তৈলাক্ত হলে তা বাদ দিয়ে বাকি অংশে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বক তৈলাক্ত বা মিশ্র হলে অবশ্যই টোনার ব্যবহার করতে হবে।