নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় অব্যাহত রয়েছে বসতবাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট। এছাড়া মাইকিং করে জোরপূর্বক কেটে নিচ্ছে একাধিক পরিবারের পাকা জমির ধান।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কামরুল কাজীর স্ত্রী জোসনা বেগম জানান, পিকুল শেখ ও রিকাইল শেখের নেতৃত্বে এলাকায় মাইকিং করে বলা হচ্ছে মিলন মোল্যার দলের কেউ ধান কাঁটতে মাঠে গেলে তাকে দেখে নেওয়া হবে। ওই রাতেই কে বা কারা আমাদের ধান কেটে নিয়ে গেছে। আর কয়েকদিন আগে বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করায় আমরা অন্য গ্রামে মানবেতর জীবনযাপন করছি। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) রাতে বাড়ির সব ক’টি ঘর আবারও ভাঙচুর করে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে পিকুল শেখ ও রিকাইল শেখের লোকজন। এছাড়া পূর্বের ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে কালিয়া থানায় এজাহার জমা দিলেও রেকর্ড করেনি থানা পুলিশ।
কামরুল কাজীর মেয়ে শাহবাগ ইউনাইটেড একাডেমি নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খানম জানান, তার সমস্ত বই পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। সে আরও বলে আমাদের ঘরবাড়ি কিছুই অবশিষ্ট নেই, পরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। জমির ধানও আমরা আনতে পারছি না। আমরা কি খেয়ে বাঁচব?
পার্শ্ববর্তী পাইটকেল বাড়ি গ্রামের মকিদুল মোল্যা ওই গ্রামে ভাঙচুর দেখতে এসে দুঃখ প্রকাশ করেন।
কামরুল কাজীর ভাইয়ের বউ ঝুমা বেগম বলেন, পিকুল শেখ ও রিকাইল শেখের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক আমার ভাসুরের বাড়িঘর ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে পিকুল শেখ ও রিকাইল শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। যে কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধান কাটার বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাননি। ভাঙচুর-লুটপাটের বিষয়ে জোসনা বেগমের দায়ের করা এজাহার রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি নতুন এসেছেন তবে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।
সবুজদেশ/এসইউ