‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র নাক গলাক চাই না’
সবুজদেশ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের রক্তে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া বা বিশ্বের যে কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাক গলাক, আমরা তা চাই না।’
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে গণতন্ত্র যখন ভূলুণ্ঠিত হলো তখন আমরা যুদ্ধে যাই, দেশ স্বাধীন করি। আমাদের মানবাধিকার নিয়ে কারও মাতব্বরি করার কোনো সুযোগ নেই।’
গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহীনবাগে প্রায় এক দশক ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান পিটার হাস। বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে মায়ের কান্না নামের একটি সংগঠনের একদল লোক তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে আসেন তিনি।
ওই দিনই পিটার হাস জরুরি ভিত্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা জানান। পরবর্তী সময়ে পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওই ঘটনায় গত মঙ্গলবার ঢাকায় রুশ দূতাবাস একটি বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, গণতন্ত্র সুরক্ষা বা অন্য কোনো অজুহাতে বাংলাদেশসহ তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে রাশিয়া বদ্ধপরিকর। এর পাল্টায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক টুইটে প্রশ্ন করা হয়, ইউক্রেনের ক্ষেত্রে রাশিয়া এ নীতি অনুসরণ করেছে কিনা।
সোমনার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ নিয়ে কূটনীতিকদের মন্তব্যের বিষয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিদেশি কূটনীতিকেরা নিয়মনীতির মধ্যে থেকে কথা বলবেন এমনটা প্রত্যাশা করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘তাদের জন্য নিয়ম আছে এবং সে অনুযায়ী তারা কথা বলবে। আমরা আমেরিকা, পশ্চিমা দেশ সম্পর্কে বলেছি, অন্য দেশ সম্পর্কেও আমাদের একই বক্তব্য।’
এ সময় মেট্রোরেল নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের সব উন্নত দেশে মেট্রোরেল আছে। এই প্রথম বাংলাদেশে হচ্ছে, এটি আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয়।’
ইচ্ছা, আন্তরিকতা ও সাহস থাকলে সব সম্ভব উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘মেট্রোরেল তারই উদাহরণ। মেট্রোরেল করা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা ও আন্তরিকতার কারণে। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে নিজেদের পয়সায় পদ্মা সেতু হয়েছে, নদীর তলদেশে টানেল হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে।’