ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সাথে আফগানদের রেকর্ড সংগ্রহ

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

শেষ মুহূর্তে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। রহমত শাহর সেঞ্চুরি, আসগর আফগানের সেঞ্চুরির কাছাকাছি ইনিংস এবং রশিদ খানের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রান করে অলআউট হলো আফগানিস্তান।

যে দলটিকে স্পিন অ্যাটাক দিয়ে শুরুতেই নাস্তানাবুদ করে দিতে চেয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল, সেই দলটিই কি না প্রথম দিন থেকে চোখ রাঙানি দিতে শুরু করে বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত তাদের রান হয়ে গেলো প্রায় সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি।

দলীয় ২৭১ এবং ব্যক্তিগত ৮৮ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন আসগর আফগান। সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে দিলেন তিনি। তার সঙ্গী ছিলেন আফসার জাজাই ছিলেন ৩৫ রানে। কিন্তু আসগর আফগান যোগ করলেন ৪ রান এবং আফসার জাজাই যোগ করলেন কেবল ৬ রান।

দলীয় ২৭১ রানের সঙ্গে এ দু’জন যোগ করেন কেবল ৭ রান। এরপরই এই জুটি ভেঙে দেন তাইজুল ইসলাম। ৯২ রানে থাকা আসগর আফগানকে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি। আফসার জাজাই করেন ৪১ রান। শেষ দিকে রশিদ খান ৬১ বলে খেলেন ৫১ রান করে মেহেদী মিরাজের হাতে উইকেট হারান তিনি।

আগেরদিন ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপসস্থিত হয়ে তাইজুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘মুখস্ত’ ব্যাটিং করেছে আফগান ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সেই ‘মুখস্ত’ ব্যাটসম্যানদের ওপর চড়াও হলেন তাইজুল নিজেই। তুলে নিলেন দিনের প্রথম উইকেট।

সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আফগান ব্যাটসম্যান আসগর আফগানকে পাঠিয়ে দিলেন সাজঘরে। দিনের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তাইজুলকে স্লগ করতে যান আসগর। কিন্তু বল ব্যাটের উপরের কানায় লেগে উপরে উঠে গেলে অন্যদের থামিয়ে ক্যাচটা সহজেই লুফে নেন মুশফিকুর রহীম।

১৭৪ এল খেলা ৯২ রানের ইনিংসটির পরিসমাপ্তি ঘটলো এভাবেই। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কাও মেরেছিলেন আসগর আফগান। আফসার জাজাইয়ের সঙ্গে ৮১ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েই বিদায় নিলেন আসগর।

দলীয় ২৯৯ রানের মাথায় আফসার জাজাইকে বোল্ড করে ফেরান তাইজুল ইসলামই। ১১৫ বল খেলে ৪১ রান করেন জাজাই। এরপর কায়েস আহমেদ ৯ রান করে ফিরে যান সাকিব আল হাসানের বলে। তিনি করেন ৯ রান। সে সঙ্গে প্রথম উইকেটের দেখা পান সাকিব। ইয়ামিদ আহমদজাই আউট হন কোনো রান না করেই। তাকে ফেরান সাকিব।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রশিদ খান রিটার্ন ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। ইনিংসে মিরাজের ওটাই একমাত্র উইকেট। রশিদ খান আউট হতেই শেষ হয় আফগানদের ইনিংস। তাইজুল ইসলাম ৪১ ওভার বল করে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিলেন নাঈম হাসান এবং সাকিব আল হাসান। ১টি করে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

টস জিতে প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ভালোই ভুগিয়েছেন আফগান ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে রহমত শাহ। আফগানিস্তানের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তার সেঞ্চুরি এবং ৮৮ রানে থাকা আসগর আফগানের ব্যাটে ভর করে প্রথম দিন শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান।

About Author Information
আপডেট সময় : ১২:১১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৩২১ Time View

বাংলাদেশের সাথে আফগানদের রেকর্ড সংগ্রহ

আপডেট সময় : ১২:১১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

শেষ মুহূর্তে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। রহমত শাহর সেঞ্চুরি, আসগর আফগানের সেঞ্চুরির কাছাকাছি ইনিংস এবং রশিদ খানের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রান করে অলআউট হলো আফগানিস্তান।

যে দলটিকে স্পিন অ্যাটাক দিয়ে শুরুতেই নাস্তানাবুদ করে দিতে চেয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল, সেই দলটিই কি না প্রথম দিন থেকে চোখ রাঙানি দিতে শুরু করে বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত তাদের রান হয়ে গেলো প্রায় সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি।

দলীয় ২৭১ এবং ব্যক্তিগত ৮৮ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন আসগর আফগান। সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে দিলেন তিনি। তার সঙ্গী ছিলেন আফসার জাজাই ছিলেন ৩৫ রানে। কিন্তু আসগর আফগান যোগ করলেন ৪ রান এবং আফসার জাজাই যোগ করলেন কেবল ৬ রান।

দলীয় ২৭১ রানের সঙ্গে এ দু’জন যোগ করেন কেবল ৭ রান। এরপরই এই জুটি ভেঙে দেন তাইজুল ইসলাম। ৯২ রানে থাকা আসগর আফগানকে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি। আফসার জাজাই করেন ৪১ রান। শেষ দিকে রশিদ খান ৬১ বলে খেলেন ৫১ রান করে মেহেদী মিরাজের হাতে উইকেট হারান তিনি।

আগেরদিন ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপসস্থিত হয়ে তাইজুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘মুখস্ত’ ব্যাটিং করেছে আফগান ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সেই ‘মুখস্ত’ ব্যাটসম্যানদের ওপর চড়াও হলেন তাইজুল নিজেই। তুলে নিলেন দিনের প্রথম উইকেট।

সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আফগান ব্যাটসম্যান আসগর আফগানকে পাঠিয়ে দিলেন সাজঘরে। দিনের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তাইজুলকে স্লগ করতে যান আসগর। কিন্তু বল ব্যাটের উপরের কানায় লেগে উপরে উঠে গেলে অন্যদের থামিয়ে ক্যাচটা সহজেই লুফে নেন মুশফিকুর রহীম।

১৭৪ এল খেলা ৯২ রানের ইনিংসটির পরিসমাপ্তি ঘটলো এভাবেই। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কাও মেরেছিলেন আসগর আফগান। আফসার জাজাইয়ের সঙ্গে ৮১ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েই বিদায় নিলেন আসগর।

দলীয় ২৯৯ রানের মাথায় আফসার জাজাইকে বোল্ড করে ফেরান তাইজুল ইসলামই। ১১৫ বল খেলে ৪১ রান করেন জাজাই। এরপর কায়েস আহমেদ ৯ রান করে ফিরে যান সাকিব আল হাসানের বলে। তিনি করেন ৯ রান। সে সঙ্গে প্রথম উইকেটের দেখা পান সাকিব। ইয়ামিদ আহমদজাই আউট হন কোনো রান না করেই। তাকে ফেরান সাকিব।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রশিদ খান রিটার্ন ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। ইনিংসে মিরাজের ওটাই একমাত্র উইকেট। রশিদ খান আউট হতেই শেষ হয় আফগানদের ইনিংস। তাইজুল ইসলাম ৪১ ওভার বল করে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিলেন নাঈম হাসান এবং সাকিব আল হাসান। ১টি করে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

টস জিতে প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ভালোই ভুগিয়েছেন আফগান ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে রহমত শাহ। আফগানিস্তানের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তার সেঞ্চুরি এবং ৮৮ রানে থাকা আসগর আফগানের ব্যাটে ভর করে প্রথম দিন শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান।