ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীনের প্রতিশ্রুতি

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৩:০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে।

 

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন।

বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত। এমন সংকটময় সময়ে চীন সবসময়ই সত‍্যের পক্ষে থাকবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে তার দেশ।

ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয় দেশকে কাজ করতে হবে। কমাতে হবে উত্তেজনাও।

চলতি মাসের শেষে শত ব‍্যবসায়ী বিনিয়োগকারীসহ দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসছেন। ইয়াও ওয়েনের দাবি, এত বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল আগে বাংলাদেশে আসেনি। এর মাধ‍্যমে বাণিজ্য আরও প্রসারিত হবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, স্থিতিশীলতা ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়। সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলতে চাই না।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু ৫০ বছরের নয়, এই দুই দেশের সম্পর্ক হাজার বছরের। চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। অবকাঠামো উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগিতায় চীন বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য। সেটা হলো, চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কখনো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। আরেকটি হলো, চীন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গভীর সম্পর্ক রাখে।

সবুজদেশ/এসইউ

জনপ্রিয়

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীনের প্রতিশ্রুতি

Update Time : ০৩:০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন।

বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত। এমন সংকটময় সময়ে চীন সবসময়ই সত‍্যের পক্ষে থাকবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে তার দেশ।

ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয় দেশকে কাজ করতে হবে। কমাতে হবে উত্তেজনাও।

চলতি মাসের শেষে শত ব‍্যবসায়ী বিনিয়োগকারীসহ দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসছেন। ইয়াও ওয়েনের দাবি, এত বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল আগে বাংলাদেশে আসেনি। এর মাধ‍্যমে বাণিজ্য আরও প্রসারিত হবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, স্থিতিশীলতা ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়। সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলতে চাই না।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু ৫০ বছরের নয়, এই দুই দেশের সম্পর্ক হাজার বছরের। চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। অবকাঠামো উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগিতায় চীন বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য। সেটা হলো, চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কখনো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। আরেকটি হলো, চীন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গভীর সম্পর্ক রাখে।

সবুজদেশ/এসইউ