ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বাংলাদেশে কী ঢং, এক বছর আগে হইচই শুরু করে’

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে।

‘বাংলাদেশে কী ঢং, এক বছর আগে হইচই শুরু করে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বিশ্বের অন্যান্য দেশে নির্বাচন কেন্দ্রিক আলোচনা মাস দুয়েক আগে শুরু হলেও বাংলাদেশে এক বছর আগ থেকেই হইচই শুরু হয়ে যায়। বিষয়টিকে ‘ঢং’ বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নির্বাচন নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান এবং অন্যান্য বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।

সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কিছু মন্ত্রণালয়কে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ কমিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠন করা হয়েছে কি না জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে ড. মোমেন বলেন, নির্বাচনের এখনো বহুদিন বাকি, দুনিয়ার অন্যান্য দেশে নির্বাচন নিয়ে দুই মাস আগে আলোচনা হয়, আর বাংলাদেশে কী ঢং, সবাই এক বছর আগেই হইচই শুরু করে। এটা খুবই দুঃখজনক।

মোমেন বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে অত উদ্বিগ্ন নই। নির্বাচন হবে নির্বাচনের নিয়মে। যা সুষ্ঠুভাবে এবং সময়মতো হবে। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাসী। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, দেশে আগে ফ্রড ভোট হতো। একবার ১ কোটি ২৩ লাখ লোক ভুয়া ভোট দিয়েছে। এখন ওটা বন্ধ। ফ্রডগীরি করতে পারবেন না। দেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যাতে এরা ভালোভাবে নির্বাচন করতে পারে। সুতরাং সেখানে সব দল আসলে ভালো। আর যারা আসবে না, আসবে না।

নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ পদ্ধতি বন্ধ করার পক্ষে মত দেন মোমেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে বলেন, আমেরিকায় চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে না। যে দলের সমর্থন কম তারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। আমাদের দেশে চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। এটা এক মজার দেশ।

Tag :

‘বাংলাদেশে কী ঢং, এক বছর আগে হইচই শুরু করে’

Update Time : ০৮:০৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বিশ্বের অন্যান্য দেশে নির্বাচন কেন্দ্রিক আলোচনা মাস দুয়েক আগে শুরু হলেও বাংলাদেশে এক বছর আগ থেকেই হইচই শুরু হয়ে যায়। বিষয়টিকে ‘ঢং’ বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নির্বাচন নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান এবং অন্যান্য বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।

সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কিছু মন্ত্রণালয়কে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ কমিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠন করা হয়েছে কি না জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে ড. মোমেন বলেন, নির্বাচনের এখনো বহুদিন বাকি, দুনিয়ার অন্যান্য দেশে নির্বাচন নিয়ে দুই মাস আগে আলোচনা হয়, আর বাংলাদেশে কী ঢং, সবাই এক বছর আগেই হইচই শুরু করে। এটা খুবই দুঃখজনক।

মোমেন বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে অত উদ্বিগ্ন নই। নির্বাচন হবে নির্বাচনের নিয়মে। যা সুষ্ঠুভাবে এবং সময়মতো হবে। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাসী। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, দেশে আগে ফ্রড ভোট হতো। একবার ১ কোটি ২৩ লাখ লোক ভুয়া ভোট দিয়েছে। এখন ওটা বন্ধ। ফ্রডগীরি করতে পারবেন না। দেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যাতে এরা ভালোভাবে নির্বাচন করতে পারে। সুতরাং সেখানে সব দল আসলে ভালো। আর যারা আসবে না, আসবে না।

নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ পদ্ধতি বন্ধ করার পক্ষে মত দেন মোমেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে বলেন, আমেরিকায় চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে না। যে দলের সমর্থন কম তারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। আমাদের দেশে চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। এটা এক মজার দেশ।