বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ মাঠে থাকবেনা দর্শক
সবুজদেশ ডেস্কঃ
প্রথমে প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে আসর, পরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট- দু দুটি ক্রিকেট আসর ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছে। খেলা চলাকালীন কোনো ক্রিকেটার, কোচিং ও সাপোর্টিং স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হবার ঘটনা ঘটেনি।
তবে এর একটিতেও সে অর্থে দর্শক প্রবেশাধিকার ছিল না। সাধারণের জন্য শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের গেট খোলা ছিল না। তবে ভার্চ্যুয়াল ফ্যানস ছিল। আর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রতিযোগী ৫ দলের অফিসিয়াল স্পন্সরদের হাতে গোনা কিছু সমর্থক মাঠে ছিলেন। অবশ্য সে সংখ্যা নেহায়তই নগণ্য।
এখন সামনে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ লড়াই। আগামী ২০ জানুয়ারি শেরে বাংলায় শুরু তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেটা শেষ হলে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দুই টেস্টের সিরিজ।
সিরিজ শুরুর আগে ভক্ত ও সমর্থকদের মনে একটিই প্রশ্ন বেশ করে উঁকি দিচ্ছে- মাঠে গিয়ে খেলা দেখার কি সুযোগ হবে? বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের গেট কি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে?
আজ (শনিবার) সে কৌতুহলি প্রশ্নর জবাব দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দর্শকবিহীন মাঠেই খেলা আয়োজনের পরিকল্পনাতেই এগোচ্ছে বিসিবি।
আকরামের ব্যাখ্যা, ‘আসলে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দর্শক থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়ে আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। তবে আমরা দর্শক না রাখার পক্ষে। ওটা নিয়ে আলাপ আলোচনাও চলছে। যদিও হাতে এখনও সময় আছে। আরও আলাপ আলোচনা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দর্শক ছাড়াই সিরিজ আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে।’
ওপরের কথা শুনে মনে হতে পারে, এখনও যেহেতু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি; তাই শেষ পর্যন্ত হয়তো দর্শকরা মাঠে গিয়ে বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে-টেস্ট দেখার সুযোগ পেতেও পারেন। কিন্তু সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সাথে আলাপে আকরামের শেষ কথোপকথন বলে দেয়, সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ঘরে টিভিতে বসেই খেলা দেখতে হবে দর্শকদের।
আকরাম খান বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট আসরের দুটি আয়োজন সফল হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে। আমরা চাই এই সিরিজটিও ভালোভাবে শেষ করতে। আমাদের প্রথম ও মূল লক্ষ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানো।’
ক্রিকেট অপস চেয়ারম্যানের শেষ কথা, ‘ক্রিকেট মাঠে ফেরানোই মূল লক্ষ্য, দর্শক মাঠে নিতে যাওয়া মানেই বাড়তি ঝুঁকি নেয়া। আমরা আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা ভাবছি। শুরুতেই দর্শকদের মাঠে নিয়ে আসার মতো এত বড় ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না।’